মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং বলেছে, ইরানের ওপর আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ওই কোম্পানি তেহরানকে কোনো বিমান সরবরাহ করবে না।
বুধবার বোয়িং এক ঘোষণায় দাবি করেছে, ইরানের সঙ্গে বিমান বিক্রির চুক্তি না থাকায় তেহরানকে কোনো বিমান দেয়া হবে না। খবর পার্সটুডে’র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতমাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেয়ার পর বোয়িং এ ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট করল। এর আগে ওই কোম্পানি ইরানকে বিমান সরবরাহের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য না দিয়ে শুধু একথা জানিয়েছিল যে, ইরানের ব্যাপারে তারা ওয়াশিংটনের নীতি অনুসরণ করবে।
বোয়িং এখন চুক্তির কথা অস্বীকার করলেও ২০১৫ সালের জুলাই মাসে আমেরিকাসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পর ওই কোম্পানি ইরানের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিমান বিক্রির চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল।
বোয়িং ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জানিয়েছিল, ইরানের রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা- ইরান এয়ারকে ১,৬৬০ কোটি ডলার মূল্যে ৮০টি যাত্রীবাহী বিমান সরবরাহ করার ব্যাপারে তারা তেহরানের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে।
পাশাপাশি ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন কোম্পানিটি ইরানের ‘অসেমান’ এয়ারলাইন্সের কাছে ৬০টি ‘বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স’ বিমান বিক্রির জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথাও জানিয়েছিল।
ইরানে ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর থেকে দেশটির বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এসেছে আমেরিকা। এসব নিষেধাজ্ঞা ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের ধারাবাহিক শত্রুতা ও বিদ্বেষের প্রমাণ।