২০০৭ বিশ্বকাপে শচীন, দ্রাবিড়, সৌরভদের হট ফেভারিট ভারতকে বাংলাদেশ হারানোর পর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়েছিলো ‘এক বাংলাদেশির কাছে ১১ ভারতীয়র হার’ কিছু কিছু পত্রিকা আবার করেছিলো ১২১ কোটি ভারতীয়র হার। ম্যাচটিতে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের টপ অর্ডার একাই গুড়িয়ে দিয়েছিলো বর্তমান দলের ওডিআই অধিনায়ক মাশরাফি। সেই ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।
১১ বছর পর দেরাদুনে বর্তমান সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হলো ক্রিকেট দুনিয়ার উঠতি শক্তি আফগানিস্তানের কাছে। যদিও মঞ্চ ভিন্ন কিন্তু নাটকের কাহিনিটা একই। পোর্ট অব স্পেনের সেই দৃশ্য যেন ঘুড়েফিরে এসেছে দেরাদুনে। আজকের রশিদ যেন সেদিনের মাশরাফি রূপ ধারণ করেছে।
পরপর দুই ম্যাচে আফগানদের বিস্ময় বালক রশিদ গুড়িয়ে দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। প্রথম ম্যাচে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকা বাংলাদেশের মিডল অর্ডার তছনছ করে দেয় রশিদ। রশিদ যেন বাংলাদেশের কাছে এক রহস্যের নাম! এগারোতম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলে বোল্ড করেন ইনফর্ম মুশফিককে। পরের বলে সাব্বিরকে সাজঘরে ফেরান রশিদ। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে ৩ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয় রশিদ।
সিরিজে ফেরার মিশনে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু ১৬তম ওভারে সাকিব-তামিমের পর মোসাদ্দেককে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় রশিদ। নিজের কোটার শেষ ওভারে ফেরায় সৌম্যকে। দারুণ শুরুর পরও রশিদ বীরত্বে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৩৪ রানে। দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশকে হারানো বড় কারিগর রশিদ। বলা যায় শুধু রশিদের কাছেই হেরেছে এগারো টাইগার। রশিদ জুজু জয় করতে না পারলে হয়তো ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পেতে হবে সাকিব এন্ড কোংদের।