প্রথমবারের মতো ১০ নারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়েছে সৌদি সরকার।
দেশটিতে মেয়েদের ড্রাইভিং নিষিদ্ধ থাকার আদেশটি উঠিয়ে নেয়ার পর এ লাইসেন্স দেয়া হলো।
এদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের দাবিতে আন্দোলনরতদের এখনো আটক করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার সৌদি সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, লেবানন এবং কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী ১০ নারীকে সৌদির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
রাজধানী রিয়াদের সাধারণ ট্রাফিক বিভাগের ছোট একটি ড্রাইভিং পরীক্ষার মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেয়া হয়। তবে ওই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
সৌদি আরবে অন্যান্য নারীরাও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আগামী ২৪ জুন কলেজ ক্যাম্পাসে ড্রাইভিং কোর্স গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মধ্যে অনেকে বিশ্বের অন্যতম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবারে কাজ করার জন্যও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
নিজ নিজ কাজ বা গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অনেক চড়া মূল্যে ড্রাইভার রাখা, ট্যাক্সির ব্যবহার করা অথবা পুরুষ ড্রাইভারের উপর নির্ভরশীলতার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন সৌদি নারীরা।
এ আন্দোলনে জড়িত অনেককে আটক করা হয়েছিল। তাদেরকে সম্ভাব্য বিচারের মুখামুখি করা হবে।
সৌদি আরবের প্রসিকিউটর বলেন, নারীদের জন্য এ অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ১৭ জন আটক হয়। এদের আটজনকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো পাঁচজন পুরুষ এবং চার জন নারী আটক রয়েছেন।
গত ১৫ মে থেকে আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন- লওজেইন আল-হাতাউল, আজিজা আল-ইউসুফ এবং ইমান আল নাফ জান। নারীদের জন্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এই তিন নারী সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিলেন।