দুই কলেজছাত্রী এক ছেলেকে পছন্দ করতেন। গোপনে তাদের মধ্যে সম্পর্কও চলছিল। ডেটিংয়ে প্রেমিকের হাতে তুলে দিতেন ফোন। এভাবে একে একে তারা ওই প্রেমিককে ৩৮ টি ফোন তুলে দিয়েছেন। গত দুই মাসে কলেজে যাওয়ার পথে তারা রেলওয়ের নারীদের কামরা থেকে ফোন চুরি করতেন। সম্প্রতি রেলওয়ে পুলিশ টুইঙ্কেল সনি (২০) ও তিনার পারমার (১৯) নামের ওই দুই ছাত্রীকে আটক করেছে। এ ঘটনায় রাহুল রাজপুরোহিত (২৮) নামের আরও এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে পুলিশের ডিসিপি পুরোসত্যম করদ জানান, রোরিভলি ও সান্তাক্রস স্টেশনে বেশিরভাগ ফোন চুরির ঘটত। ফোন চুরির বিষয়ে আমাদের কাছে দফায় দফায় একাধিক অভিযোগ আসে। আমরা সেগুলো রেজিস্টার্ড করে তদন্ত করতে থাকি। প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পারি, দুই কলেজ ছাত্রী সিং নামের এক ছেলেকে ভালবাসতো। তারা হাতে তাৎক্ষণিক টাকা পাওয়ার জন্য এবং সিংহের সাথে সময় কাটানোর জন্য টাকা খরচ করতে চুরি করত বলে আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সাদা পোশাকধারী কয়েকজন নারী পুলিশ ৩০ মে কান্দিভলি ট্রেন থেকে তাদের আটক করে। ওইদিন দুপুর একটার সময় কম্পিউটারের একটি ব্যাগ থেকে ফোন চুরি করার সময় পুলিশ সনিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে সনির সহায়তা নিয়ে পারমার এবং এ ঘটনার সাথে অভিযুক্ত আরেকজনকে আটক করা হয়-যার কাছে তাদের বয়ফ্রেন্ড ফোনগুলো বিক্রি করে দিতো। অন্তত ৭টি অভিযোগে তাদের নাম আছে বলে রেলওয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান।
সনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি পারমার ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষের স্থাপত্যবিদ্যার ছাত্রী। তারা প্রতি সন্ধ্যায় সিংহের সাথে দেখা করত এবং সে তাদেরকে ফোনগুলো বিক্রির বিষয়ে সহযোগিতা করত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তারা সনি ও পারমার ট্রেনে করে কলেজে যাওয়ার পথে ফোনগুলো চুরি করত। সনির ব্যাগ থেকে ৯টি ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩৮টি ফোন ও ৩০টি মেমরি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে বলে তারা জানান। অভিযুক্তদের ৮ জুন পর্যন্ত রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।