চলছে মুসলমানদের জন্য ইবাদতের শ্রেষ্ঠ মাস মাহে রমজান মাস। এ মাস সিয়াম সাধনার মাস রমজান। মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের আশায় এই মাসে মুসলমানরা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতও করে থাকেন।যত বেশি ইবাদত করা যায় সেটাই চেষ্টা করেন সবাই।
এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেন না মুসলিম খেলোয়াররা। তারাও অপ্রাণ চেষ্টা করেন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনারে রোজা রেখে ফুটবল খেলেছেন লিভারপুলের দুই স্ট্রাইকার মারে ও মোহাম্মদ সালাহ। জানা যায়, আসন্ন বিশ্বকাপেও একই পন্থা অবলম্বন করবেন তারা।
মহান প্রভুর নৈকট্য লাভের আশায় এবার মারে-সালাহদের পথ অনুসরণ করলেন তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়রা। গত ২৯ মে এবং ২ জুন পর্তুগাল এবং তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচে রোজা রেখেই খেলতে নামে মুসলিম প্রধান দেশটির খেলোয়াড়রা।
কিন্তু ম্যাচটিতে একটি বিশেষ ঘটনা আলো কেড়েছে ফুটবলভক্তদের। তা হলো, তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়দের ইফতার করার প্রক্রিয়া। তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই সময় হয় ইফতারের। কিন্তু তখন মাঠে দৌড়াচ্ছেন তিউনিশিয়ার ফুটবলাররা। ঠিক তখনই ইনজুরিতে পড়ার অভিনয় করেন তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক ময়েজ হাসান।
যার ফলে রেফারি খেলা থামানোর বাঁশি বাজান এবং এই সুযোগে পানি খেয়ে রোজা ভাঙেন তিউনিশিয়ার খেলোয়াড়রা। সারাদিনের রোজা থাকার ক্লান্তি দূর করতে কয়েকটি খেজুরও খেয়ে নেন তারা। এই ‘ইফতার’ পর্বের ৬ মিনিট পরেই ম্যাচের সমতাসূচক গোলটি পায় তিউনিশিয়া।এটি একটি বিরল ঘটনা যা সাধারনত হয়না ।তবে তারা যা করেছে তা আল্লাহ’র শন্তুষ্টি লাভের আশায় করেছেন।