রাজপুত্তুর আর হলিউড রানীর বিয়ে বলে কথা। তাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের উপহার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের নামি-দামি ব্রান্ডের কর্তাব্যক্তিরা। অন্যদিকে কয়েকজন সেলেব্রেটিও হাতে নিয়ে এসেছিলেন উপহার সামগ্রী।
এতে কেনসিংটন প্যালেস-ই পুরো ভরে উঠেছিল উপহার সামগ্রীতে। তবে এসব উপহার সামগ্রী গ্রহণ করছেন না ব্রিটিশ রাজপুত্তুর ও রাজবধূ। ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল তাদের বিয়েতে উপহার সামগ্রী না দিয়ে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দানের অনুরোধ আগেই করেছিলেন।
তবুও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া উপহার সামগ্রীতে ভরে গেছে কেনসিংটন প্যালেস। আর এসব উপহার সামগ্রী দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ফেরত পাঠাচ্ছেন বছরের সবচেয়ে আলোচিত এ নব দম্পতি। এসব উপহার সামগ্রী যেন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার না হয়, এ জন্যই উপহার সামগ্রীগুলো গ্রহণ করছেন না এ নব দম্পতি।
এর আগে, যখন প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেট তাদের কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তখন শিশুটির জন্যে ৩০ মিলিয়ন পাউন্ডের উপহার সামগ্রী এসেছিল রাজপ্রাসাদে। প্রিন্স জর্জের জন্মের সময়ও ঘটেছিল একই ঘটনা। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট সেই উপহার সামগ্রীও ফিরিয়ে দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু উপহার সামগ্রী নয় প্রিন্স হ্যারি ও মেগানের বিয়েতে বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রদূত ও পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে পাঁচ তারকা হোটেলে অবকাশযাপন কিংবা হলিডে হোমসে তাদের মধুচন্দ্রিমা যাপনেরও প্রস্তাব দেয়া হয়।
গত ১৯ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যার দিকে ব্রিটিশ সেইন্ট জর্জ চ্যাপেলে কয়েকশ’ সেলিব্রিটি অতিথি এবং সারা বিশ্বের কোটি দর্শকদের সামনে বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েন ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকার প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল।