২০১৩ সালের আগস্টে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন ‘বিস্ময় বালক’ মোহাম্মদ আশরাফুল। যেই বিপিএলে তিনি ক্রিকেট থেকে ছিটকে গিয়েছেন দীর্ঘ সময় পরে আবার সেই বিপিএলেকেই প্রত্যাবর্তনের টার্গেট হিসেবে বেঁছে নিলেন ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।
এ বছর ১৩ই অগাস্ট সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে আশরাফুলের। বাকি আছে আর মাত্র ৬৭ দিন। সেক্ষেত্রে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে খেলতে আর কোন বাঁধা নেই। আর যেহেতু জাতীয় দলে ফেরার সবচেয়ে বড় মঞ্চ হলো বিপিএল। তাই ফেরার উপলক্ষ হিসেবে বিপিএলকেই পাখির চোখ করছেন ‘আশার ফুল’ বলে খ্যাত মোহাম্মদ আশরাফুল।
এই সম্পর্কে আলাপকালে তিনি বলেন,‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ( ডিপিএল) ৫টি সেঞ্চুরি করেছি। যার মধ্যে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে আমি হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করেছি।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি ঠিক। কিন্তু ডিপিএলের খেলা তো আর টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয় না। আর এই লিগটা নিয়ে মানুষের আগ্রহও তেমন নেই।
তাই ফোকাসটাও তেমন থাকে না। তবে আমাদের দেশে বিপিএলে সবার ফোকাস থাকে। টেলিভিশনে সারা বিশ্বে এই টুর্নামেন্টটি সম্প্রচার করা হয় বলে সবার চোখ থাকে বিপিএলে। বিশ্ব সেরা টি-২০ স্পেশালিস্টরা খেলেন বিপিএলে। তাই বিপিএলের জন্য অপেক্ষায় আছি।’
জাতীয় নির্বাচনের কারণে এই বছরের বিপিএলের সময় পেছনোর সম্ভবনা রয়েছে। যার কারণে আশরাফুলের অপেক্ষাটাও আরো বাড়লো। এই অপেক্ষা মেনে নিয়ে তিনি বলেন,‘৫ বছর তো কেটে গেল অপেক্ষাতে। আর তো মাত্র ক’মাস অপেক্ষা করতে হবে।’
তবে দলে ফেরার আগে সব পরিক্ষা দিতেও তৈরি আশরাফুল। ইতিমধ্যে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফিটনেসও ঠিক রেখেছেন তিনি। এই সম্পর্কে আশরাফুল বলেন,‘১৩ আগস্ট থেকে জাতীয় দলে নির্বাচনের জন্য আমি উন্মুক্ত হব।
কিন্তু আমি জানি,আমাকে পরীক্ষা দিতে হবে। আমি সেই পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। শরীরের ওজন কমিয়েছি ৫ কেজিরও বেশি। রমজান মাসে রোজা পালন করায় অনুশীলন এখন সেভাবে হচ্ছে না।তবুও বাসার সামনে টুক টাক অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।’