এই সিরিজ যে সহজ হবে না সেটা আগেই টের পাওয়া গিয়েছিলো বাংলাদেশ দলের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের অগ্রিম সতর্কবার্তা। কিন্তু বাংলাদেশ দল যে আফগানিস্তান দলকে হালকা ভাবে নিয়ে পঁচা শামুকে পা কেটে বসবে সেটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি।
যেই সাকিবের নেতৃত্ব গুনে শ্রীলঙ্কা সিরিজে ফাইনাল খেলে চমক দেখিয়েছে তাঁর ব্যর্থতায় আজ দলকে আফগানিস্তানের মতন ছোট দলের কাছে হারতে হয়েছে। বাংলাদেশের বোলাররা যখন রীতিমত তুলধুন হচ্ছিলেন আফগান ব্যাটসম্যানদের হাতে সেখানে সাকিব ছিলেন উজ্জ্বল। সাকিব ৪ অভারে মাত্র ১৯ রান দেন।
সাকিবের পাশাপাশি বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক। মাহমুদউল্লাহ এক অভার বল করেই ২ উইকেট দখল করেন মাত্র ১ রান দিয়ে। অন্যদিকে মোসাদ্দেক মাত্র ৩ রান দেন। অবাক করা বিষয় হচ্ছে কোন এক অজানা কারনে তাঁদেরকে দিয়ে আর বল করাননি সাকিব। এখানেই সাকিব আল হাসানের ষড়যন্ত্র দেখছেন ক্রিকেট ভক্তরা। তারা দাবি করছেন, মাহমুদউল্লাহ আর মোসাদ্দেককে দিয়ে বোলিং করালে রান এতটা হতো না। এটা তিনি নিশ্চিতভাবে ষড়যন্ত্র করেই করেছেন বলে দাবি অনেকের।
মোট কথা সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোন বিভাগেই পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। আর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। সাকিবের মতে, শেষ ওভারের বাজে বোলিংয়েই হেরে গেছে তাঁর দল। সেই সঙ্গে ব্যাটিং-ফিল্ডিংও যে ভালো হয়নি সেটাও স্বীকার করেছেন সাকিব। এটাও বলেছেন এখনও টাইগারদের অনেক উন্নতির দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘আমাদের আরও অনেক দিকেই উন্নতি করতে হবে। এটা মেনে নিতে দ্বিধা নেই আফগানরা ভালো দল। সেরাদের মতই ওরা ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। আর সব বিভাগেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি বলা যায়।‘
বোলারদের ঢাল হয়ে সাকিব আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু খুব বাজে বোলিং করেনি। আমরা একশ’র আগেই ওদের চার উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ চার ওভার সব বদলে দিয়েছে। আর এর মাশুলই আমাদের দিতে হয়েছে। শেষ চার ওভারে ৬০ এর বেশি রান কখনও মানা যায় না।‘
সুত্র: ভোরের পাতা