আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ব্যাটসম্যান-বোলারদের সমান ব্যর্থতায় ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে ম্যাচে। ম্যাচশেষে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্নের সামনে পড়েছে সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব।
নিজেদের ব্যাটিংয়ের শেষ ৪ ওভারে ৬২ রান তুলেছে আফগানিস্তান। এই ৪ ওভারের সবগুলোই করেছেন পেসাররা। অথচ দুর্দান্ত বোলিং করেও ১ ওভারের বেশি বোলিং পাননি দুই অফস্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মোসাদ্দেক সৈকত। টসের সময় উইকেট স্লো বলেও, ম্যাচে অফস্পিনারদের এতো কম ব্যবহার করানোর কারণেই প্রশ্নের মুখে পড়ে যায় সাকিবের পরিকল্পনা।
এমন নয় যে মোসাদ্দেক–রিয়াদ বোলিং করলে এতো বেশি রান করতে পারত না আফগানরা। তবু একটা সম্ভাবনা থেকেই যেত রানের চাকা আটকে রাখার। কেননা ১ ওভার বল করে সৈকত খরচ করেন মাত্র ৩ রান, রিয়াদের ওভারে ১ রানের বিনিময়ে আসে ২টি উইকেট। তবু এরপর আর হাত ঘোরানোর সুযোগ পাননি এই দুই স্পিনার।
এনিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন স্পিনাররা যদি ওভারে ৩টি ছক্কা খেতেন তখন কি হতো? তখনও একইভাবে বলা হতো না যে বিশেষজ্ঞ বোলার থাকতে কেন পার্টটাইমার ব্যবহার করা হলো?
সাকিব বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা সবসময়ই কঠিন। প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে, ‘একে-ওকে কেন বোলিং দিলাম না।’ বোলিং দেয়ার পর যদি তিন ছক্কা খেতো, তখন আবার উল্টো প্রশ্ন উঠতো, ‘মূল বোলাররা থাকতে কেন ওকে বোলিং দিলাম।’ আসলে ক্রিকেটে এমন হয়ই। আমাদের সবকিছুতে নতুন করে মনোযোগ দিতে হবে।’