প্রবাসীদের নিয়ন্ত্রিত জীবনে অবসর আর বিনোদন বলতে তেমন কিছু নেই, এসবের সুযোগও খুব একটা মেলে না। সাধারণত সারা দিনের ব্যস্ততা ও খাটুনি শেষে রুমে ফিরে রান্নাবান্নার আয়োজন নিয়ে বসতে হয় কমবেশি সবাইকে। তবে বছর ঘুরে পবিত্র রমজান মাস এলে কিছুটা সময় পাওয়া যায়। তাই আমার মতো অনেক প্রবাসীর কাছে আনন্দের মাস- এই রমজান। কিন্তু অবসর মানে, অখণ্ড অবসর নয়; দিন শেষে মাত্র কয়েক ঘন্টার অবসর।
কথায় আছে, বাঙালিরা পরমানন্দ অনুভব করে খোশ-গল্প আর আড্ডায় বসে। বিদেশের মাটিতে এগুলোর কোনোটাই সচরাচর দেখা যায় না। ঈদ কিংবা রমজান এলে এ সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না কোনো প্রবাসী। কারণ, রমজানে প্রবাসের পরিচিত, আত্মীয় কিংবা নিজ জেলার অধিবাসীদের অংশগ্রহণে চলে রুমে রুমে ইফতারের আমুদে আয়োজন। অনেকে আবার মৃত পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফিরাত কামনায় ইফতার আয়োজন করেন নিজের দায়িত্ববোধ থেকে। এসব আয়োজনে প্রবাসীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে অংশ নিয়ে থাকেন।
ইফতার আয়োজন
ভোজন রসিক বাঙালিদের ইফতারে বুট-মুড়ি না হলে চলেই না! বাহারি সব ইফতার সামগ্রীর সঙ্গে মুড়ি, বুট, পেঁয়াজু, বরা, আলুর চপ রাখতেই হবে। সঙ্গে বহু পানীয়র দেশ মালয়েশিয়ার মাঙ্গা, তিওয়াস, আঙুর, মিলু, এক্সট্রা থেকে শুরু করে কুকুবিমা জুস তো আছেই। যদিও মালয় অন্যান্য খাবারের প্রতি বাঙালিদের ততটা আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না।
ইবাদত-বন্দেগিতেও এগিয়ে প্রবাসীরা
প্রবাসীদের সারা বছর যেখানে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে তেমন একটা চোখে পড়ে না, সেখানে রমজান মাসে স্থানীয়দের চেয়ে এগিয়ে বাঙালিরা। তারাবিতে নিয়মিত উপস্থিতি প্রমাণ করে রমজানের গুরুত্ব অনুধাবন ও গভীর ইসলামপ্রেম রয়েছে তাদের মননে। ডিউটিতে কাজের ফাঁকে, মসজিদে সময়-সুযোগে কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল দেখা যায় অনেককে। এক কথায় প্রবাসীরা রমজানে খুব ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটায়।