আফগানিস্তানে প্রতি তিনজনের মধ্যে মাত্র একজন মেয়ে শিশু স্কুলে যাচ্ছে। ইউনিসেফের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত থেকে ১৭ বছরের মধ্যে প্রায় ৩৭ লাখ শিশু অর্থাৎ ৪৪ শতাংশ শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে। অপরদিকে, ২৭ লাখ মেয়ে শিশু অর্থাৎ দেশের ৬০ শতাংশ মেয়ে শিশু স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে।
ইউনিসেফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে চলমান সংঘাত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি, দারিদ্র্য, বাল্যবিবাহ এবং নারী-পুরুষের বৈষম্যের কারণে স্কুল থেকে ঝরে পড়ছে শিশুরা। ২০০২ সালের পর স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দেশজুড়ে চলমান সহিংসতার কারণে বাধ্য হয়ে বহু স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কান্দাহার, হেলমান্দ, ওয়ারদাক, পাকটিকা, জাবুল এবং উরুজগানের মতো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ মেয়ে শিশু স্কুলে যাচ্ছে না।
একটি সেমিনারে শিশু শিক্ষার এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী মিরওয়াইস বালখিও। তবে এর জন্য তালেবান আর আইএসের বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এ বছরের এপ্রিলেই দু’টি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছিল তালেবান জঙ্গিরা। আফগানিস্তানের মধ্য দাইকুন্দি প্রদেশ নারী শিক্ষার জন্য দেশের অন্যতম সুরক্ষিত এলাকা বলে মনে করা হয়। ইউনিসেফের আফগান প্রতিনিধি আদেলে খদর আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের প্রতি অপব্যবহার এবং শোষণ বেড়ে যেতে পারে।