উন্নাওয়ে নাবালিকা ধর্ষণ এবং কাঠুয়ায় নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের পরে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। তার পরেই ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে ১২ বছরের কম বয়সি নাবালিকাকে ধর্ষণ করলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড চালু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
ওই সংস্থাটি আর্জিতে জানিয়েছে, মানুষের ক্ষোভ কমাতে তড়িঘড়ি অধ্যাদেশ এনে আইনে এই সংশোধন করা হয়েছে। এতে বয়স ও লিঙ্গের ভিত্তিতে নির্যাতিতদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। আবেদনকারীর মতে, বিচারপতি বর্মার নেতৃত্বাধীন কমিশনও জানিয়েছিল মৃত্যুদণ্ডের ভয় ধর্ষণ রোখার ক্ষেত্রে উপযুক্ত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে না।
অন্য দিকে কাঠুয়া মামলায় অভিযুক্ত নাবালকের বয়স নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে ওই অভিযুক্ত এবং তার দাদা-দিদির জন্মের শংসাপত্র পেশ করেছে তারা। ওই শংসাপত্র অনুযায়ী অভিযুক্তের দাদা-দিদির জন্মের মধ্যে পার্থক্য ৮৮ দিনের। যা বিজ্ঞান অনুযায়ী অসম্ভব। সুতরাং ওই শংসাপত্র নির্ভরযোগ্য নয়। সুতরাং অভিযুক্তের বয়স নির্ধারণেও তারা গ্রহণযোগ্য নয়।