টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ৩ জুন, রবিবার ভারতের দেরাদুনে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায় শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি।
এই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখতে যাচ্ছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে অবস্থিত রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। অভিষেক ম্যাচেই তিনটি রেকর্ডের সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় এই স্টেডিয়ামটি।
শিরোপার সামনে দুই অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই ও সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
শিরোপার সামনে দুই অধিনায়ক আসগর স্ট্যানিকজাই ও সাকিব আল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
তিনটি রেকর্ডের মধ্যে অবশ্য দুটিই হাতছানি দিচ্ছে আফগান ক্রিকেটারদের। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচে মাত্র একটি উইকেট পেলেই সবচেয়ে দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়বেন দলটির তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান। রশিদ টি-টোয়েন্টি খেলছেন দুই বছর ২২০ দিন ধরে। যদিও ম্যাচের হিসেবে এটা হবে টি-টোয়েন্টি দ্বিতীয় দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারের রেকর্ড।
রশিদের পাশাপাশি রেকর্ড হাতছানি দিচ্ছে আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে। এই ম্যাচে ৩৯ রান করতে পারলেই পঞ্চম অলরাউন্ডার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেটের রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। এর আগে এই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি, ডোয়াইন ব্রাভো, সাকিব আল হাসান ও থিসারা পেরেরা।
আর বাকি রেকর্ডটি অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের জন্য। এই ম্যাচে বল হাতে নিজের ঝুলিতে দুটি উইকেট পুরলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অভিজাত এক ক্লাবে নাম লেখাবেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
ইতোমধ্যে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সাকিবের সংগ্রহে রয়েছে ১০ হাজার রান ও ৪৯৮টি উইকেট। আর দুটি উইকেট পেলে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব। একই সঙ্গে সবচেয়ে দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রান এবং ৫০০ উইকেট নেওয়ার অভিজাত ক্লাবে নাম লেখাবেন তিনি।
বাংলাদেশি এই তারকা অলরাউন্ডারের আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই অভিজাত ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও পাকিস্তানের আফ্রিদি। এ জন্য ক্যালিসের লেগেছিল ৪২০ ম্যাচ। আর আফ্রিদিকে খেলতে হয়েছে ৮৭৭ ম্যাচ। সেখানে অবশ্য নিজের ৩০০তম ম্যাচেই নামের পাশে ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।