নাইজেরিয়ার জার্সিতে কী এমন আছে? মনের ভেতর এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে। হালকা সবুজ রঙের জার্সিতে সাদা ডোরাকাটা শেড। এই জার্সির পেছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে পুরো পৃথিবীর মানুষ। জার্সি বের হওয়ার আগেই সারা বিশ্ব থেকে ৩০ লাখ প্রি-অর্ডার পেয়েছিল নাইকি। শুক্রবার (১ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে নাইকির স্টোরে আনা হয় নাইজেরিয়ার জার্সি। আর সেই জার্সি মাত্র তিন মিনিটেই বিক্রি শেষ!
অবিশ্বাস্য বললেও বোধহয় এটাকে কম বলা হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে জার্সি বাজারে আসার পরেই সবাই কিনতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। লন্ডনের নাইকি টাউনের বাইরে অক্সফোর্ড স্ট্রিটে সারি বেধে দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন জার্সি কিনতে আসা ভক্তরা। জার্সি আসার তিন মিনিটের ভেতরেই সব শেষ হয়ে যায়। তবে সমর্থকদের জন্য দুঃসংবাদ হলো- নাইকি জানিয়েছে নতুন করে এ মুহূর্তে আর জার্সি নিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই তাদের। এর আগে নাইজেরিয়ার ভুয়া জার্সিতে ছেয়ে যায় পুরো স্পোর্টস মার্কেট।
যদিও সেটির ডিজাইনের সঙ্গে মিল রয়েছে নাইকির বানানো জার্সির। ৩০ লাখ ভুয়া জার্সি ইতোমধ্যে বিক্রি করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নাইজেরিয়ার হোম জার্সির মূল্য নাইজেরিয়ান মুদ্রায় ৪১ হাজার নায়রা। নাইজেরিয়ার জার্সি দিয়ে এমন উত্থানে কিছুটা চিন্তায় পড়তেই পারে অন্যন্য দেশগুলো। বিশেষ করে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা। যাদের জার্সি বেশি বিক্রি হয় তারা আরও জোরেসোরে উৎপাদন বাড়াতে মনোযোগী হতেই পারে।