আরবদেশ গুলোতে কয়েক মাস ধরেই বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে । এর মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব অন্যতম । প্রতিবেশি দেশগুলোর মশ্যে সম্পর্ক ভাল নেই ।ইয়েমেনের সাথে দন্দ বেধে অাছে হামলা পাল্টা হামলা চলছে ।দেশটিতে করা হয়েছে আইনের পরিবর্তন ।তার বিরুদ্দে সৌাচ্চার হয়েছিলেন দেশটির কিছু জনগন । হঠাৎ গত এপ্রিল মাসে সৌদি রাজ প্রাসাদে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে ।এতে লেবাবননের আল-মায়াদিন টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-মাসারি বলেছেন ওই ঘটনায় মোহাম্মদ বিন সালমান গুলিবিদ্ধ হন।
আমেরিকা দাবি করেছে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে তেহরান। একই সঙ্গে ইরানের ইসলামি রেভুল্যাশনারি গার্ডকে এ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য, যুবরাজ সালমানের কথিত ‘মৃত্যু ও গুলিবিদ্ধ’ হওয়ার যতগুলো সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সব জায়গায় ইসলামি রেভুল্যাশনারি গার্ডকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেই বলেছেন, ইরানের গণমাধ্যমগুলোকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা স্বেচ্ছায় মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানিয়েছেন, সৌদি আরবকে বিশ্বের কাছে অস্থিতিশীল হিসেবে তুলে ধরতেই ইরানি গণমাধ্যম ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ সংবাদ প্রচার করেছে। বেশ কয়েকটি আরব দেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছে, সব কয়টি সংবাদের উৎস দেয়া আছে ইরান ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল সৌদি রাজ প্রাসাদে অনেক গোলাগুলির ঘটনাকে রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের চেষ্টা হিসেবে দেখা হয়েছে। ইরানি সংবাদধ্যমসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ সংবাদ মগুলোতে দাবি করা হয়, ওই রাতে সৌদি যুবরাজ সালমান গুলিবিদ্ধ হন।
এই সংবাদের ভিত্তিতে ইরানি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় , প্রিন্স সালমান আর নে ই।ওই গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এক মাস ধরে প্রকাশ্যে না দেখায় এর রহস্য আরো বাড়তে থাকে ।তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি ফিফার সভাপতির সঙ্গে বৈঠক ও মন্ত্রিসভার বৈঠকে এবং দেশটির ফুটবলটিমের ফটোসেসনে যোগদান করে মৃত্যু ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ।