পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফের পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র বাতিল করল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। একটি বিশেষ আদালতের রায় অনুযায়ী ওই মন্ত্রণালয় এ নির্দেশ দিয়েছে বলে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন এর প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশের জের ধরে জেনারেল মুশাররফের সব ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা হবে।
দুবাইতে বসবাসরত মোশাররফ বিশ্বাসঘাতকতার মামলায় পাকিস্তানের আদালতে উপস্থিত না হওয়ার কারণে আদালত তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেছে।
তবে, ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের আগে আদালতের আগের নির্দেশ পালন করার জন্য সাবেক সেনাপ্রধানকে সুনির্দিষ্ট সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা পালনে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নির্দেশ দিল।
এতে করে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট পৃথিবীর অন্য কোন দেশে যাতায়াত করতে পারবেন না। সামনেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। সেখানে যাতে কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে মুশারফ তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার কারণে পারভেজ মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা চলছে।
১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন জেনারেল মুশাররফ। পরবর্তীতে গণআন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান তিনি।
২০১৩ সালের মার্চ মাসে স্বেচ্ছা-নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানে ফেরেন মুশাররফ। ওই মাসেই আদালত তার বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অবশ্য ২০১৬ সালের মার্চ মাসে আদালতের অনুমতি নিয়েই তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান ত্যাগ করে দুবাই চলে যান। তারপর থেকে আর দেশে ফেরেননি পাকিস্তানের সাবেক এই সামরিক শাসক।