উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসায় দলিত গ্রামে চড়াও হয়ে তিনজনকে হত্যা করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরো ছয়জন। হামলাকারীদের তাণ্ডবে গুঁড়িয়ে যায় কিছু ঘরবাড়ি। ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবগঙ্গা জেলার কাচনাথম গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ মে স্থানীয় কারুপ্পাস্বামী মন্দিরের বাইরে পায়ের উপর পা তুলে বসে ছিলেন তিন দলিত যুবক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন উচ্চবর্ণের দুই হিন্দু। অভিযোগ, তাদের ‘অসম্মান’ করা হচ্ছে বলে দাবি করে ওই তিন যুবককে কটূক্তি করলে বচসা বেধে যায় দু’পক্ষের। পরে চন্দ্রকুমার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান ওই দলিত যুবকরা।
এই ঘটনার তিনদিন বাদে, সোমবার দলিত গ্রামে অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ১৫ জনের বাহিনী। অভিযোগ মন্দিরের ঝামেলার পর থেকেই দলিতদের হুমকি দিচ্ছিলেন পাশের গ্রামের তেবর সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। সে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েও ফল হয়নি। সোমবারের হামলার ছক কষেছিল চন্দ্রকুমারের ছেলেই। ওই দিন রাতে বন্ধুদের নিয়ে কাচনাথম গ্রামে হামলা চালান সে।
হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় অরুমুগম ও শন্মুগনাথম নামে দু’জনের। মাদুরাইয়ের হাসপাতালে মৃত্যু হয় চন্দ্রশেখর নামে আরো এক দলিতের। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাজাজি হাসপাতালের মর্গ থেকে মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবার। শিবগঙ্গা ও মাদুরাইয়ের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পরে তাদের দাবিদাওয়া মানার প্রতিশ্রুতি পেলে বিক্ষোভ তোলেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাচনাথম গ্রামে ৩০টি দলিত পরিবার ও পাঁচটি হিন্দু পরিবার থাকলেও বরাবরই কোণঠাসা দলিতরা। দলিতদের হাতে জমিজমা থাকলেও উচ্চবর্ণের হিন্দু জল দিলে তবেই চাষবাস করতে পারেন তারা। এমনকি, উচ্চবর্ণের গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলেও ব্যবস্থা নেয় না পুলিশ।