ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা দেয়ার দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা কুয়েতের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি দেশটি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক সহিংসতার জন্য হামাসকে দায়ী করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরাইল সীমান্তে অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের কয়েক সপ্তাহব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে চিকিৎসাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে শুক্রবার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, ফ্রান্স, চীনসহ আরো সাতটি দেশ। আর ব্রিটেন, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ইথোপিয়া ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল। শুধুমাত্র একটি দেশ, ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
কুয়েতের তৈরি করা প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের বেসমারিক লোকজনের নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। এতে একটি আন্তর্জাতিক মিশন প্রতিষ্ঠাসহ ফিলিস্তিনী বেসামরিক মানুষকে রক্ষায় ৬০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিত অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভোটাভুটির পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেছেন, মার্কিন ভেটো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্বস্ততা ও কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ন করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র চরম অশুভ উদ্দেশ্য পোষণ করে তা এই ভেটোর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে।
এছাড়া জাতিসংঘে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আল-ওতাইবা বলেছেন, মার্কিন ভেটো ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হতাশা বাড়াবে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি এ প্রস্তাবকে চরম একপেশে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে শান্তির জন্য বড় বাধা বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে কুয়েতের প্রস্তাবের পর ফিলিস্তিন ইস্যুতে একটি সংশোধিত খসড়া প্রস্তাব তোলে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ প্রস্তাবের পক্ষে একটি ভোটই পড়ে এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের। ১১টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে এবং তিনটি দেশ প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে।
মার্কিন প্রস্তাবে ইসরাইলের শক্তি প্রয়োগ ও ফিলিস্তিনিদের রক্ষার বিষয়টি বাদ দেয়া হয়। এর পরিবর্তে গাজায় হামাস ও অন্য ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সকল প্রকার হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে উস্কানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।