দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা।
গতবার এই আসন থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে এত বড় পদে গিয়েও সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন এই তারকা।
পুরো ব্যাপারটি নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে চলাফেরা, মেশা আমার একটি সহজাত ব্যাপার। মানুষ কেন সংসদ সদস্য হওয়ার সঙ্গে এর মিল খুঁজে পায় আমি বুঝি না। কারণ এইটা আমার সহজাত একটা ব্যাপার।
আমি যখন ক্রিকেট খেলেছি আমি তখন এই গ্রাম, ওই গ্রামে গিয়ে বসে চা খেয়েছি। চা দোকানে বসে থেকেছি। আমি একটু লো প্রোফাইল লাইফেই অভ্যস্ত। মানুষের সঙ্গে চলা-ফেরা আমার পরিবারের থেকেই পেয়েছি। আমি এটার ভেতরে যে আনন্দ পাই তা আর কোনো কিছুতে পাই না। যা বললাম, এটা আমার সহজাত বিষয়। আমি সংসদ সদস্য থাকলেও করতাম, না থাকলেও করতাম। এইটা আমার ছোটবেলার অভ্যাস।’
জনগণের সঙ্গে দূরত্ব না রেখে ভালোভাবে মিশতে চান মাশরাফি, ‘দেখুন, আমি সবসময়ই মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছি। একটা বিষয় আছে না, আমাকে ভয় পাবে।
সেটা তো আমার কাজ হবে না। মানুষের মনের কথা যদি আমি না জানতে পারি, তাহলে তো আমার কাজের পূর্ণতা পাবে না। তাই রাখঢাক ফেলে যেন কথা বলতে পারে। যেকোনো পরিবেশে যেকোনো জায়গায় তারা যেন আমাকে সংসদ সদস্য না ভেবে কথা বলতে পারে।’
দ্বিতীয়বারের মতো নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেটার হওয়ার আগেও ভাবিনি ক্রিকেটার হবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। আমার জন্মস্থান নড়াইল, এই জনপদের মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ দিয়েছেন, সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
খেলাধুলার প্রতি শেখ হাসিনার আগ্রহ নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড় সবাইকেই পছন্দ করেন। মাশরাফি কেন, যেকোনো স্পোর্টসম্যানকে; … মহিলা ফুটবল দলকে দেখেছি, হকি দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন দেখেছি, সাহস দিয়েছেন। প্রত্যেকটা স্পোর্টসম্যানকে পছন্দ করেন তিনি। কারণ তার রক্তেই তো স্পোর্টস জড়িত। বঙ্গবন্ধু নিজে ফুটবলার ছিলেন। মাননীয় প্রধনামন্ত্রীর দুই ভাই স্পোর্টসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। পুরো পরিবারই স্পোর্টস পছন্দ করেন। তো এইটা তো তাদের রক্তেই আছে। তাই খেলাধুলার প্রতি দুর্বল।’
তবে খেলোয়াড় হিসেবে পছন্দ করা আর সংসদ সদস্য হিসেবে পছন্দ করা আলাদা বিষয় বলেও জানান মাশরাফি। তার ভাষ্য, ‘সংসদ সদস্যের যে বিষয়টা, একটা জায়গা।
তিনি (শেখ হাসিনা) কিন্তু চাইবেনই ৩০০ আসনের যারা সংসদ সদস্য আছেন সবাই যেন যার যার এলাকার মানুষের জন্য সঠিকভাবে কাজ করেন। এই জায়গাটা কিন্তু প্যারালাল জায়গা।
আমি আমার এলাকার লোকদের জন্য কাজ করছি কি না, পাশে আছি কি না এই জিনিসটা কিন্তু তিনি আমাদের থেকে আশা করেন। দুইটা দুই রকম জিনিস।
খেলাধুলা তো তিনি নিজেই পছন্দ করেন, খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন। প্রত্যেকটা সংসদ সদস্যকেও পছন্দ করেন। কারণ তাদেরকে তো তিনিই মনোনয়ন দিয়েছেন।
শুধু এইটাই না, তিনি চান যে মানুষ যেহেতু আমাদের সংসদ সদস্য বানিয়েছে, তো মানুষের তো অনেক চাওয়া পাওয়া আছে। তাই তিনি চান, আমরা যেন তাদের চাওয়া পাওয়া পূরণের চেষ্টা করি।’