শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। চিকিৎসার জন্য তাকে ‘কয়েকদিন’ হাসপাতালে থাকতে হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভ্যাটিকান সিটি।
৮৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরপর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরীক্ষায় তার করোনা ধরা পড়েনি। এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিসের ঘনিষ্ঠ স্টাফ এবং তার নিরাপত্তারক্ষী আজ রাতে জেমেলি হাসপাতালে থাকবেন।
জানা গেছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া ভ্যাটিকানের মুখপাত্র এর আগে বলেছিলেন, নির্ধারিত মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পোপকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ফ্রান্সিসকে হঠাৎ করেই বুধবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে অনেকে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে বিবৃতিতে জানানো হয়, চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে। যদিও প্রথমে ভ্যাটিকান সিটি জানিয়েছিল, পোপ ফ্রান্সিস রুটিন চেক আপের জন্য হাসপাতালে গেছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমগুলো এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কারণ বুধবার ফ্রান্সিসের একটি টিভি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়।
এর আগে বুধবার সকালেই ভ্যাটিকানে পোপ সাপ্তাহিক সাধারণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। ওই সময় তাকে সুস্থই দেখা যায়।
ইস্টার সানডের আগে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন পোপ ফ্রান্সিস। অংশ নেন নানা ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। তবে তিনি ইস্টার সানডের কার্যক্রমে এবার যোগ দিতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ দেখা গেছে। পোপের সুস্থতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
পোপের হাসপাতালে ভর্তির খবরে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তার নিজ শহর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সেও। গত কয়েক মাস ধরে চলাচলে হুইল চেয়ার ব্যবহার করছিলেন পোপ। তিনি ২০১৩ সাল থেকে ভ্যাটিকান সিটির পোপের দায়িত্বে আছেন। ২০২১ সালে একটি অস্ত্রোপচার করা হয় তার শরীরে।