বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে সারাবিশ্ব। তবে কাতারে শুরু হওয়া ৩২ দলের ফিফার সর্বোচ্চ আসরের লড়াইয়ের উন্মদনা এখন চার দলে নেমে এসেছে। টুর্নামেন্টের সেরা চার দল নামবে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে।
প্রথম সেমিফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া। আগামীকাল রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ফ্রান্স ও মরক্কো।
সেমিফাইনালের চার দলের দুটি ইউরোপের, একটি লাতিন আমেরিকার এবং একটি আফ্রিকার। অর্থাৎ এবারের সেমিফাইনালের লড়াই তিন মহাদেশের।
এবারের আসরে ইউরোপীয় গতি এবং আফ্রিকান উত্থান থামিয়ে লাতিন আমেরিকার ফুটবলশৈলীর বিজয় হবে বলেই মনে করছেন লাতিন ভক্তরা। আর লাতিন ফুটবলের নান্দনিকতার বিজয়ের দায়িত্ব এখন আর্জেন্টিনার কাঁধে।
যদিও এবারের আসরে ফেভারিট হিসেবেই শুরু করেছিল আরেক লাতিন পরাশক্তি ব্রাজিল। তবে বিগত কয়েক আসরের মতো এবারও ইউরোপিয়ান গেরো ছাড়াতে পারেনি তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয় ব্রাজিল।
তবে নিজেরা বিদায় নিলেও লাতিন ফুটবলের বিজয় দেখতে চান সেলেকাওরা। তাই নিজেরা ছিটকে যাওয়ার পর বিশ্বকাপ জয়ে ব্রাজিলিয়ানদের সমর্থন এখন আর্জেন্টিনাকে।
মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মাঠের বাইরে তারা লাতিন ফুটবলের বিজয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ, সেটিও আবারও প্রমাণিত।
শুধু সাধারণ ফুটবলপ্রেমী ব্রাজিলিয়নরা নন, দেশটির খোদ ফুটবলসংশ্লিষ্টরাও চাইছেন বিশ্বকাপ জিতুক আর্জেন্টিনা।
সোমবার স্পোর্টস সেন্টাল ব্রাজিলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার প্রতি সমর্থনের কথা জানান দেশটির ফুটবল সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো সার্নে।
তিনি বলেন, আমাদের একতা বজায় রাখতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, আমরা সবাই আর্জেন্টাইন। আমি আশা করি, তারা বিশ্বসেরার ট্রফি দক্ষিণ আমেরিকায় নিয়ে আসবে।
এর আগে বিশ্বকাপ শুরুর পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিও একই রকম কথা বলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তারাও লাতিন আমেরিকার ফুটবলের জয় চায়। তাই নিজেরা ছিটকে গেলে ব্রাজিলকে সমর্থন দেবেন।
স্কালোনি বলেন, আমি লাতিন আমেরিকান ফুটবলের বড় ভক্ত। আমার প্রচুর ব্রাজিলিয়ান বন্ধু আছে। আর্জেন্টিনা যদি না পারে তা হলে আমি চাইব লাতিন আমেরিকার কোনো দল জিতুক (বিশ্বকাপ)। কেউ অন্যভাবে ভাবলে ভুল করবে। ওরা (ব্রাজিল) ভালো খেলে দুটি ম্যাচ জিতেছে, তাদের অভিনন্দন জানাই।