বিশ্বকাপের আগেই তুমুল বিতর্ক, ৭.৪ মিলিয়ন ডলার ঘুস দিয়েছে কাতার?

রাত পোহালেই বিশ্বকাপ শুরু। পর্দা ওঠার পর পরই ইকুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক কাতার।

বিশ্বকাপের ফেভারিট দল না হলেও এ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কারণ উদ্বোধনী ম্যাচ দিয়েই জানা যাবে কেমন আয়োজন হতে চলেছে কাতার বিশ্বকাপ।

আর সেই ম্যাচটি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আয়োজক দেশ কাতারের বিরুদ্ধে উঠল এক গুরুতর অভিযোগ।

ম্যাচটিকে পাতানো হবে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, কাতারকে নাকি ম্যাচ ছেড়ে দেবে ইকুয়েডর! বিশ্বকাপ যুদ্ধের প্রথম ম্যাচেই জয় চায় কাতার, যা স্বাগতিক দলকে এনে দেবে মর্যাদা। সমর্থকদের মাঝে তৈরি করবে উৎসাহ-উদ্দীপনা। স্বাগতিক হিসেবে এমন আবহ তৈরি করা জরুরি মনে করছে কাতার।

তাই জয় নিশ্চিত করতে প্রতিপক্ষে ইকুয়েডরের ৮ জন ফুটবলারকে সাত মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ঘুস দিয়েছে কাতার ফুটবল সংস্থা!

এক টুইটে এমন অভিযোগ তুলেছেন মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ব্রিটিশ গবেষণা কেন্দ্রের আঞ্চলিক প্রধান আমজাদ তাহা।

আমজাদ তাহা সেই টুইটে দাবি করেছেন, ইকুয়েডর ম্যাচ ছেড়ে দেবে কাতারকে। কারণ কাতার উদ্বোধনী ম্যাচ জেতার জন্য ইকুয়েডরের আটজন ফুটবলারকে ৭.৪ মিলিয়ন ডলারকে ঘুষ দিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে করা গোলে ইকুয়েডরকে হারাবে কাতার। কাতারের পাঁচজন এবং ইকুয়েডর শিবিরের ভিতর থেকেই এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে আশাকরি এটা ভুল খবর। আর এই খবর প্রকাশিত হওয়ায় ম্যাচের ফলাফলকেও প্রভাবিত করবে। ফিফার এমন দুর্নীতির বিরোধিতা করুক।

তাহার এই টুইট ইতোমধ্যে ১২ হাজারের মতো রিটুইট হয়েছে। ৮ হাজারের কাছাকাছি কোট টুইট হয়েছে।

এমনটা হওয়ারই কথা। কারণ টুইটারে আমজাদ তাহা’র ফলোয়ার সংখ্যা চার লাখের বেশি। তার ওপর বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এমন গুরুতর অভিযোগের টুইট ভাইরাল হওয়ার পরও কাতার সরকার বা কাতার ফুটবল ফেডারেশন এখন পর্যন্ত এ নিয়ে টু শব্দটি করেনি। এমনকি ফিফা এবং ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি।