ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ইউক্রেন!

ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণার পর দ্রুত ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করেছে কিয়েভ। শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেন, আমরা এরইমধ্যে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্তির সক্ষমতা অর্জনের প্রমাণ করেছি। এখন ন্যাটোতে যোগ দিতে ইউক্রেন তার আবেদনে স্বাক্ষর করে এক ধাপ এগিয়ে গেছে।

চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের চার অঞ্চল দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝজিয়াতে গণভোট করেছে রাশিয়া। সেই ভোটের ভিত্তিতে রাশিয়ার মুল ভূখণ্ডের সঙ্গে অঞ্চলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করলেন পুতিন। তবে গণভোটকে ‘সাজানো’ বলে দাবি করে সেটিকে অবৈধ বলছে কিয়েভ ও তার কথিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মিত্ররা।

জেলেনস্কির আবেদন অগ্রগতির সংকেতটি ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের বিষয়টি বোঝাই যাচ্ছে।

জেলেনস্কি নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করার দাবি করে আরো বলেন, আমরা আমাদের যুদ্ধক্ষেত্রে সবদিক থেকে অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া দেখাতে পেরেছি। আমরা একে অপরকে বিশ্বাস করি, আমরা একে অপরকে সাহায্য করি এবং আমরা একে অপরকে রক্ষা করি। এটিই আমাদের জোট।

রাশিয়ার সাত মাসের অভিযানে ইউক্রেন সোভিয়েত ইউনিয়নের মডেলের অস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে ন্যাটোর অস্ত্র ব্যবহার শিখেছে। ন্যাটোর অস্ত্র ব্যবহার শেখার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে।

পুতিন ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে যুক্ত করায় ইউক্রেন, পশ্চিমা দেশ ও জাতিসংঘের মহাসচিব নিন্দা জানিয়েছেন। এটিকে বড় ধরনের সংঘাত বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, ইউক্রেনের দোনেস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝজিয়া অঞ্চল রাশিয়ার নতুন অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হবে। এ চার অঞ্চলের মানুষ রুশ নাগরিক হিসেবে চিরজীবন থাকবেন।

তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চার অঞ্চলের মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ অন্তভুক্তির ইচ্ছা ছিল। তা আজ পূরণ হয়েছে।