আর্শদিপের পাশে দাঁড়ালেন হাফিজ ও বিরাট কোহলি

ভারত-পাকিতান ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। আর তা যদি হয় এশিয়া কাপের মতো বড় আসরে তাহলে তো উত্তেজনার পারদটা আরও এক ধাপ উপরে থাকে। মাঠের বাইরে দর্শকের আগ্রহ যেমন বেশি থাকে ঠিক তেমনি বাইশ গজে ক্রিকেটারদের স্নায়ু চাপও বেশি থাকে। আর এই বাড়তি স্নায়ু চাপের কারণেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে ক্যাচ তালুবন্ধি করতে পারেননি আর্শদিপ সিং, এমনটাই ধারণা মোহাম্মদ হাফিজের। আর এই তরুণ ক্রিকেটারের এমন ভুলে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন বিরাট কোহলি।

পাকিস্তানের রান তাড়ার ১৮তম ওভারের ঘটনা এটি। রবি বিষ্ণইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন আসিফ আলি। জায়গা থেকেও নড়তে হয়নি আর্শদ্বিপকে। কিন্তু তার হাতে পড়ে বল লাফ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা তখন মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। দেখান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। ডাগআউটে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে তীব্র হতাশা। আর শূন্য রানে যখন জীবন পেলেন আসিফ, তখনও জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৫ বলে ৩১ রান। পরের ওভারে তিনি ভুবনেশ্বর কুমারকে লং-অং দিয়ে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান। ওভারের শেষ বলে মারেন চার।

শেষ ৬ বলে যখন প্রয়োজন ৭ রান। তখন আর্শদ্বিপের দ্বিতীয় বলে চার মেরে দেন আসিফ। ৮ বলে ১৬ রান করে যখন তিনি সাজঘরে ফেরেন, তখন পাকিস্তানের জিততে প্রয়োজন ৪ বলে ২ রান। এই ম্যাচে আসিফের এই ১৬ রানের ইনিংস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, অথচ আর্শদ্বিপ ক্যাচটা তালুবন্ধি করতে পারলে শূন্য রানে ফিরতেন আসিফ। এরফলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্নরকমও হতে পারতো।

পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার হাফিজের মতে, ক্রিকেটে এমন ভুল হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘ভারতীয় সমর্থকদের প্রতি আমার অনুরোধ। খেলাধুলায় আমরা ভুল করি, কারণ আমরাও তো মানুষ। এই ভুলগুলো নিয়ে কাউকে দয়া করে হেনস্তা করবেন না।;

২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে শহিদ আফ্রিদিকে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে লং-অফে উমর গুলের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন কোহলি। ফিরেছিলেন ২৪ বলে ১৬ রান করে। এর বড় কারণ ছিল স্নায়ুচাপ। আর্শদিপের এই ক্যাচ ছাড়ার পেছনেও স্নায়ুচাপের প্রভাবই দেখছেন কোহলি।

ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আমি বাজে একটি শট খেলে আউট হয়ে গিয়েছিলাম। চাপে যে কেউ ভুল করতে পারে। খারাপ লাগা স্বাভাবিক। এখন দলের পরিবেশ বেশ ভালো, কৃতিত্ব ম্যানেজমেন্ট ও অধিনায়কের। একজন ক্রিকেটারকে তার ভুল স্বীকার করতে হবে, সেটা সমাধান করতে হবে এবং আবারও চাপের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মুখিয়ে থাকতে হবে।