ইউক্রেনে সামরিক ঘাঁটিতে হামলা, নিহত ১০

দীর্ঘ সময় থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের তীব্র হামলায় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অনেকটাই বিপর্যস্ত। পরাশক্তি রাশিয়াকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালেও রুশ অভিযান তাতে বন্ধ হয়নি। বরং আগ্রাসন আরো বেড়েই চলছে । প্রতিনিয়ত ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। সম্প্রতি ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর দিনিপ্রোতে সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো রাশিয়ার হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৩০ জনের বেশি মানুষ।

শুক্রবার (২৭ মে) ভোরে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল গার্ডের আঞ্চলিক প্রধান গেনাদি কোরবান বলেন, ‘ (রাশিয়ার) ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র আজকে ন্যাশনাল গার্ডের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে। এতে ১০ জন নিহত হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক, ১০ জন নিহত হয়েছে, এছাড়াও ৩০-৩৫ জন মানুষ আহত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।