সৌদিতে রমজানে অমুসলিমরাও কেন রোজা রাখছেন!

সৌদিতে রমজানে অমুসলিমরাদের মধ্যে রোজা রাখার প্রবণতা দেখা গেছে।কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী এবং বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্যতা প্রদর্শনের জন্যই ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের মধ্যে রোজা রাখতে দেখা গেছে।

এলিয়েন্স ফ্রাঙ্কেইস নামে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের রিয়াদ শাখার প্রধান রাফেল জেগার বলেন, রোজা কেবল আপনি নিজেই রাখছেন, এর মহত্ত্ব ও মাধুর্য্য আপনার বন্ধু-বান্ধব সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।খবর আরব নিউজের।

রাফেল জেগার আরও বলেন, রোজা রেখে আমার এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হয়েছে। এর মাধ্যমে সৌদি আরব এবং ফ্রান্সের সাংস্কৃতির মধ্যে একটি সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে।

জেগার গত তিন বছর ধরে রিয়াদে বসবাস করে আসলেও এবারই প্রথম রোজা রেখেছেন। তিনি বলেন, আমি যখন প্রথম রিয়াদে আসি তখন করোনার প্রদুর্ভাবে ঘর থেকেই বেরোতেই পারিনি, তাই রোজা সম্পর্কে ধারনাই অর্জন করতে পারিনি।

এখন আমার অনেক সৌদি বন্ধু হয়েছে। তারা আমাকে ইফতারে দাওয়াত করেন।এর পর থেকেই আমি তাদের সঙ্গে রোজা রাখতে অনুপ্রাণিত হই।এতে শারীরিক, আধ্যাত্মিক ও মানসিক পরিতৃপ্তি পাওয়া যায়।

তার প্রথম রোখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সেদিন আমি রোজা রেখে স্কোয়াশ খেলায় অংশ নেই, এতে আমার প্রচণ্ড তেষ্টা পায়। এটা ছিল আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।

কিন্তু যতই তৃষ্ণা লাগুক আমি পানি পান করিনি। আমি আমার সংযমের ক্ষমতা দেখে গর্বিত।আমি মনে করি রোজা রাখা আর জিমে যাওয়ার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

জেগার আরও মনে করেন, রোজা রাখার মধ্যে দিয়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা যায়। এ জন্যই সৌদি আরবে দিন দিন অমুসলিমদের মধ্যে রোজা রাখার প্রবণতা বাড়ছে।