সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বেশ লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন না মুস্তাফিজুর রহমান। মূলত তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে খেললে পেসারদের উপর যে ধকল যায় সেই ধকল সামাল দিতে গিয়েই ইনজুরিতে পড়ে যান বেশিরভাগ পেস বোলাররা। সর্বশেষ এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ এই তিন পেসারই পড়েছেন ইনজুরিতে। তাই শতভাগ ফিট মুস্তাফিজকে পাওয়ার জন্যই সাদা বলের ক্রিকেটে তাকে নিয়মিত দেখা যায়। দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবিও মুস্তাফিজকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে লাল বলের তালিকায় রাখেনি। স্বভাবতই তাই প্রশ্ন আসে মুস্তাফিজ কি টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন না?
এমন প্রশ্ন যখন সবার সামনে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন এর জবাবটাও মুস্তাফিজুর রহমান নিজেই দিয়েছেন। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি তাদের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশী গণমাধ্যম আজকের পত্রিকার বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে জানিয়েছে মুস্তাফিজের টেস্ট খেলার ব্যপারে।
ওই প্রতিবেদনে মুস্তাফিজ বলেন, ‘’টেস্ট খেলতে চাই কি চাই না, এটা যদি ক্রিকেট বোর্ড আমার কাছে জানতে চায়, সেখানেই নিজের ভাবনা জানাব। সাধারণত দেখি আমার সিনিয়র ভাইয়েরা বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলে থাকেন। আমিও সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। যদিও তিনি আমার ব্যাপারটা ভালো করেই জানেন। বিসিবি এ ব্যাপারে আমাকে কখনো জোর করেনি। বিসিবির বর্তমান লাল বলের চুক্তিতেও আমি নেই।‘’
বাংলাদেশ দলকে লম্বা সময় সার্ভিস দিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে মুস্তাফিজের। তাই ইনজুরি মুক্ত থাকতে তিন ফরম্যাট থেকে বাছাই করে খেলার কথাই সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন কাটার মাস্টার।
তিনি আরও বলেন, ‘’সুস্থ থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি লম্বা সময় বাংলাদেশ দলকে সার্ভিস দিতে চাই, তাহলে আমার ফিট থাকা জরুরি। আর ফিট থাকতে হলে তিন সংস্করণের মধ্যে বেছে খেলাটাই সেরা উপায় মনে করি। এ ক্ষেত্রে কোন বলে আমার সাফল্য তুলনামূলক বেশি, সেটা দেখে সংস্করণ বাছাই করছি।‘’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে মুস্তাফিজ যোগ করেন, ‘’রেকর্ড বলে, আমার সাফল্য বেশি ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে। সে হিসেবে এই দুই সংস্করণে বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। আর বিশ্ব ক্রিকেটের অনেককেই দেখুন, ক্যারিয়ার লম্বা করতে সংস্করণ বেছে খেলছে। কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে কোনো দলও হয় না।‘’