ভারতে করোনাভাইরাসে নতুন ধরণ অমিক্রনের বিস্তার বেড়ে যাওয়া দিল্লিতে সপ্তাহিক ছুটির দিন কারফিউ জারি করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী শনিবার (৮ জানুয়ারি) ও রবিবার (৯ জানুয়ারি) নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় কারফিউ চলবে। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দিল্লির রাজ্য সরকার এই আদেশ জারি করেছে।
করোনা মহামারিতে ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত। করোনাভাইরাসের নতুন ধরণের আতঙ্ক তাই এবার সবার মাঝেও আরো অনেক বেশি। বিগত সময়ে দেশটিতে দৈনিক শতাধিক মানুষ করোনায় মারা যেতে দেখা গিয়েছে। তাই এবার আগেভাগেই কারফিউ জারি করেছে দেশটির রাজধানী ও এর আশেপাশে। ইতোমধ্যেই ভারতে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার।
দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দু’দিন কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে জরুরি পরিসেবা ছাড়া সরকারি সব দপ্তরের কর্মীদেরকে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। সড়কে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে বাস ও মেট্রোয় আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। প্রকাশ্যে কেউ মাস্ক ছাড়া বের হতে পারবেন না।
ভারতের ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের (এনটিজিআই) প্রধান ডা. এনকে অরোরা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতাসহ ভারতের বড় শহরগুলোতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত এই রোগীদের ৭৫ শতাংশই ওমিক্রনের শিকার।
করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে চিন্তায় রেখে ভারতে বন্ধ ছিলো ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের জমায়েত করা। যদিও তার পরের দিনই দেশটিতে করোনা পরিটিভ শনাক্ত হয় ৪ হাজারের বেশি মানুষ। সোমবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী দিল্লিতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৯ জন।
