রিপোর্ট করে তো কিছুই করতে পারলেন না, বললেন আ.লীগ নেতা

“ভাই আমি রউফ চেয়ারম্যান বলছি। আমিতো সভাপতি হয়েছি। আপনাকে বললাম আমি আওয়ামী দলের বিশেষ এক নেতার আশির্বাদপুষ্ট। তবুও রিপোর্ট করলেন, কতো কিছুইতো লেখলেন কিন্তু রিপোর্ট করেতো কিছুই করতে পারলেন না”!

বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সময়ের কন্ঠস্বর’র মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মির্জাপুর’র সাংবাদিক মো. সানোয়ার হোসেনকে ফোন করে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়া।

পরে তাকে অভিনন্দন জানানো হলে সে ফোনটি রেখে দেন। এর আগে গেল ২৬ মার্চ সময়ের কন্ঠস্বরে “ছিলেন বিএনপির সহ-সভাপতি, এখন হতে চান আ.লীগের সভাপতি” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের জেরে সভাপতি হয়েই সাংবাদিককে ‘কটাক্ষ’ করে এসব কথা বলেন রউফ চেয়ারম্যান!

এদিকে বিএনপির সক্রিয় নেতা থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করার কিছুদিন পরই ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বইছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়। অনেকেই তার এই সভাপতি পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা জানান, টাকার বিনিময়ে ভোট কিনে ত্যাগী পরিশ্রমী নেতাদের বাদ রেখে প্রভাব খাটিয়ে সভাপতি হয়েছেন রউফ চেয়ারম্যান। এরআগেও সরকারি গাছ কেটে বিক্রি, চালে কম দেয়াসহ নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

এদিকে সম্মেলনের দিন প্রথম অধিবেশনে ২০-৩০ জন কাউন্সিলর ব্যাতীত কোনো কাউন্সিলরকেই দেখা যায়নি সম্মেলন স্থলে। সে বিষয় নিয়েও নেতাদের মধ্যে চলে নানা গুঞ্জন। অনেক নেতাই তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মী কেউই এই ফলাফল মেনে নেয়নি। তৃণমূল তাকে চায়না। এই ধরণের নেতৃত্ব মেনে নেয়া যায়না। এভাবে চলতে থাকলে ত্যাগী পরিশ্রমীরা যেমন নেতৃত্ব হারাবে তেমনিভাবে বিএনপিরা আওয়ামী লীগে নামমাত্র প্রবেশ করে এই দলটিকে রসাতলে নিয়ে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, নির্বাচনতো সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন আর এ বিষয়ে কিছুই করার নেই! স্থানীয় (ফতেপুর) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনের পূর্বে

(গত ১১ মার্চ) উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে রউফ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অর্থাৎ রউফ চেয়ারম্যানকে সভাপতি প্রার্থী না করা প্রসঙ্গে অভিযোগপত্র দায়ের করলেও সেই বিষয়ে কোনো ধরণের প্রতিবেদন জেলা আওয়ামী লীগকে মির্জাপুর উপজেলা আ.লীগ দেয়নি বলেও নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।