লকডাউনে মালয়েশিয়ায় কেমন আছেন বাংলাদেশিরা

মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে বুধবার পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখনো কোনো বাংলাদেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। এরপরও করোনা আতঙ্কে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়সহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়াজুড়ে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিট-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। চলমান লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এতে দেশটির পথঘাট জনশূন্য। এরইমধ্যে বেশ কিছু শহরকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আতঙ্কে দিন কাটছে প্রবাসীদের।

এক বাংলাদেশি প্রবাসী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা ভয়ের মধ্যে আছি। আমার দেশে যাওয়ার কথা ছিলো তাও যেতে পারিনি।

এক প্রবাসী ব্যবসায়ী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। কাস্টমার আসছে না ভয়ে।

দেশটিতে মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।

এরমধ্যেই লকডাউনের দিনগুলোতে শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানে কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তারা শুধু পাসপোর্ট ও বিমানটিকেট কিনে দেশে যেতে পারবেন। আর যাদের ছুটিতে থাকা অবস্থায় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তারা লকডাউন শেষ হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

দিন যতই যাচ্ছে মালয়েশিয়ার পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে, পাহাড়সম মানসিক চাপ নিয়ে প্রবাসীদের এখন একটাই প্রশ্ন কখন থামবে এই অদৃশ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।