মতিয়া চৌধুরী হচ্ছেন সংসদ উপনেতা

একাদশ জাতীয় সংসদে উপনেতা হচ্ছেন বেগম মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে সংসদের উপনেতা ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তবে এবার তার শারীরিক অবস্থা নাজুক। একারণে তিনি উপনেতার দায়িত্বে থাকছেন না। তার জায়গায় উপনেতা করা হচ্ছে বেগম মতিয়া চৌধুরীকে। মূলত এই কারণেই তাকে মন্ত্রিসভায় রাখা হয়নি বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার যে মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সে মন্ত্রিসভার হাতেই দেশ এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেছেন বিশিষ্টজনরা। পাশাপাশি ইশতেহারে ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলেও মনে করেন তারা। নতুন ও পুরাতনের সমন্বয়ে গঠিত শেখ হাসিনা সরকারের এ মন্ত্রিসভা সামগ্রিকভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে পারবে বলে মনে করেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গত ৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নব-নির্বাচিত সাংসদদের শপথ গ্রহণের পর গতকাল রোববার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এ মন্ত্রিসভায় নবীনদেরই গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে ‘তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি’ ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন তার বিষয়টিরই প্রতিফলন হয়েছে এ মন্ত্রিসভায় বলে মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরের মতই দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন, এ মন্ত্রিসভা তারই একটি প্রতিচ্ছবি। শেখ হাসিনা যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

নতুন মন্ত্রিসভার সামনে অনেক দায়িত্ব এবং সময়ই বলে দেবে তার সফলতা বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এই মন্ত্রিসভাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

এবারের মন্ত্রিসভায় যেসব হেভিওয়েট নেতা বাদ পড়েছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে নবীনদের সাহায্য করতে পারবেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। এই মুহূর্তে মন্ত্রিসভায় জোট শরিকদের ঠাঁই না হলেও পরবর্তিতে মন্ত্রিসভা বর্ধিত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।