মনোয়ন পেয়েও নির্বাচন করতে পারছেন না বেবী নাজনীন!

শেষ পর্যন্ত নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ভোটের মাঠে থাকতে পারছেন না। এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মো. আমজাদ হোসেন সরকারের প্রার্থিতা আদালতে স্থগিত হরার পর সেখানে তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি।

কিন্তু আদালতের শেষ কার্যদিবস গতকাল বৃহস্পতিবার বেবী নাজনীন ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়ায় আর তার নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বেবী নাজনীনের ভাই এনাম চৌধুরী।

ফলে, নীলফামারী-৪ আসনের নির্বাচনী লড়াইয়ে ধানের শীষের কোন প্রার্থী থাকছে না।

এ আসনে এখন প্রার্থী রইল ৪ জন। প্রার্থীরা হলেন- মহাজোট মনোনীত আহসান আদেলুর রহমান আদেল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ (সিংহ) ও এনপিপি মনোনীত প্রার্থী মো. আব্দুল হাই সরকার (আম)।

২৫ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নীলফামারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এক চিঠিতে বেবী নাজনীনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেন। চিঠিতে মির্জা ফখরুল রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেন, মো. আমজাদ হোসেনকে বিএনপি থেকে মনোনিত করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তার প্রার্থিতা স্থগিত করেছে। বেবী নাজনিনও বিএনপির বৈধ প্রার্থী। তাই তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দের অনুরোধ করা হল। কিন্তু বেবী নাজনীন প্রতীক বরাদ্দ পাননি।

বেবী নাজনীন বিএনপি থেকে মনোনয়নের জন্য ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথমে বেবী নাজনীনকে ধানের শীষ দিলেও হাইকোর্টের প্রাথমিক রায়ে নির্বাচনের সুযোগ লাভ করায় বেবীকে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে রেখে মো. আমজাদ হোসেনকে ৯ ডিসেম্বর চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয় বিএনপি।

কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর মো. আমজাদ হোসেনের প্রার্থিতা স্থগিত করেন হাইকোর্টের চেম্বার আদালত। তিনি সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করছিলেন অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে আদালতে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত দেন আদালত।

শক্ত প্রতিপক্ষ দলের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার ফলে এই আসনে মাহাজোটের প্রার্থীর বিজয় একরকম নিশ্চিত হয়ে গেল।–সময়ের কন্ঠস্বর