ভোটের মাঠে চলছে ডা. প্রিয়াংকার বাজিমাত


ডা. সানসিলা জেবরিন, ডাক নাম প্রিয়াংকা। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২২ জুন। সে হিসেবে বয়স ২৫ বছরের কিছু বেশি। সানসিলা স্থানীয়দের কাছে ডা. প্রিয়াংকা নামে পরিচিত। রাজনীতিতে আনকোরা প্রিয়াংকা চিকিৎসক হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। তিনি ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষক।

এদিকে নতুন বছরের শুরুতেই তিনি বসবেন এফসিপিএস পরীক্ষায়। তাই কোনো দিকেই মনোযোগ নেই তার। দিনরাত পড়াশোনা আর কর্মস্থল, কিন্তু হঠাৎ করেই পাল্টে যায় সব। এখন তিনি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসনে ধানের শীষ নিয়ে ব্যস্ত ডা. প্রিয়াংকা জেবরিন।

ডা. প্রিয়াংকা জেবরিন রাত-দিন চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নির্বাচনী এলাকা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক হাজার ৮৪৮ প্রার্থীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী তিনি। সর্বস্তরের মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন নিজ যোগ্যতায়। নির্বাচনী মাঠে তার প্রতিদন্ধী আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক।

১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া ডা. প্রিয়াংকার বয়স এখন ২৫। সদ্য রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও শৈশব থেকেই পরিচিত রাজনীতির সঙ্গে, বেড়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিবারেই। বাবা হযরত আলী শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

রাজনীতি কখনোই আকর্ষণ করেনি প্রিয়াংকাকে। হেঁটেছেন নিজের স্বপ্নে। ২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও ২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, তারপর ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস। ২০১৬ সালে ওই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই প্রভাষক হিসেবে যোগদান। এফসিপিএস পরীক্ষায় বসবেন আগামী ৪ জানুয়ারি।

এদিকে হঠাৎ রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে প্রিয়াংকা বলেন, চিকিৎসকতা আমার স্বপ্নের পেশা। বাবা রাজনীতি করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার বাসনা তাই জন্মসুত্রেই। মানুষের জন্য কাজ করব- এ স্বপ্ন থেকেই চিকিৎসকদের বিএনপি সমর্থিত সংগঠন ড্যাবের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে বন্যার্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছি। খুব কাছ থেকে দেশের সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র দেখেছি। ঘটনাচক্রে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও আব্বু সবসময়ই বলতেন, আমার পরেই কিন্তু রাজনীতিতে আসবে তুমি। কিন্তু সেটা যে এত তাড়াতাড়ি হবে, বুঝতে পারিনি। আব্বুর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়াতে তার হয়ে আমাকে লড়তে হচ্ছে। আব্বুর সাজানো মাঠটি আমি পেয়েছি। সেই মাঠেই এখন লড়াই করব আমি।

প্রসঙ্গত, টানা ২২ বছর পর বিএনপির প্রার্থী পেয়ে উজ্জীবিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও। জোটের রাজনীতির স্বার্থে বিগত ৪টি জাতীয় নির্বাচনে এ আসনে ছাড় দিতে হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে। যদিও কোনো নির্বাচনেই জয়ের মুখ দেখেনি তিনি। তাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করা ডা. প্রিয়াংকা দলকে বিজয়ী করে স্বপ্ন দেখছেন ঘরে ফেরার।