গত ম্যাচে মোসাদ্দেক, সাব্বিররা যেভাবে দলকে ডুবিয়েছেন তাতে অধিনায়ক আস্থার সংকটে ভুগতেই পারেন। এ জন্যই হয়তো সাব্বির, মোসাদ্দেককে না পাঠিয়ে নিজে সাহস নিয়ে ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন মাশরাফি। মাশরাফির ব্যাটিং পজিশন সাধারণত আট নম্বরে। ১০৩ রান করে তামিম যখন ফিরেন তখন ওভার ৩৮.৫। উইকেট পড়েছে ৪টি। এই অবস্থায় মাঠে নামার কথা সাব্বির রহমানের। আরও এক উইকেট পড়ার পর নামবেন মাশরাফি।
কিন্তু না, এ ম্যাচে ডবল প্রমোশন নিয়ে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন অধিনায়ক। তিনি স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান নন, অথচ দুই জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে ডিঙিয়ে ব্যাট হাতে নেমে পড়ার মতো সাহস দেখালেন। তিনি যে অধিনায়ক। দলের দারণ প্রয়োজনে তাকে যে দ্রুত কিছু রান করতে হবে। এই ক্ষুধা থেকেই মূলত জলদি নেমে পড়া।
এর আগেও মাশরাফি এমন ঝুকি নিয়েছেন। কখনও সফল হয়েছেন, কখনও হননি। যেদিন সফল হয়েছেন, সেদিন বাংলাদেশের স্কোরটাও হয়েছে সমৃদ্ধ। যেমনটা হলো আজ। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুললেন মাশরাফি।
এক প্রান্তে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ এবং অন্য প্রান্তে মাশরাফি। রান আসতে থাকলো ধেই ধেই করে। ২৫ বলে ৩৬ রানের খুবই উপকারী ইনিংস খেলে গেছেন তিনি। যে মিশন, লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, সেটা পুরোপুরি সফল। তার কারণে দল ভালো কিছু রান পেয়েছে। এই না হলে অধিনায়ক!