জুলাইয়ে মালয়েশিয়া জুড়ে বাংলাদেশীসহ চারহাজারের বেশী প্রবাসী গ্রেফতার

মালয়েশিয়া জুড়ে চলমান অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান মেগা থ্রির জুলাই ২৭ তারিখ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশীসহ ৪ হাজার ২শত ৬১ জন। যার মধ্যে ১হাজারের বেশি বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সাবা প্রদেশের ইমিগ্রেশন অফিস উদ্বোধনকালে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের পরিচালক দাতুক সেরি মোস্তফার আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত ১হাজার পাঁচশত ৬ টি অভিযান চালিয়ে ১৬হাজার ৯৮৮ জনকে আটক করে । আটককৃতদের মধ্যে কাগজপত্র যাচাই শেষে সর্বমোট ৪ হাজার ২শত ৬১ জনকে গ্রেফতার করে । এছাড়াও অবৈধ শ্রমিক নেওয়ার অপরাধে মালয়েশিয়ান নাগরিক ৮২ জন কে গ্রেফতার করে।

অভিবাসন বিভাগের পরিচালক দাতুক সেরি মোস্তফার আলী আরো জানান , জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯ শত ৩৭ জনকে গ্রেফতার করে । যার মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৪হাজারের ও বেশি । জানুয়ারি ২০১৮ থেকে জুলাইয়ে সর্বমোট ২৯হাজার ১৯৮ জনকে গ্রেফতার করলো মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ। এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের বর্তমানে বিচারকার্য শুরু হয়ে গেছে , গত ২৪ ও ২৫ জুলাই দুই দিনের ব্যবধানে প্রায় দুইশত অবৈধ অভিবাসীকে একমাস থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে মালেশিয়ার আদালত।

আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে আত্মসমর্পণ ( ৩+১ ) এর আওতায় যদি অবৈধ শ্রমিকরা দেশত্যাগ না করে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে । শুধু অবৈধ শ্রমিকে নয় বরং আমরা তাদের নিয়োগ দাতাদের ও গ্রেফতার করবো । অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগ দাতাদের সঙ্গে কোনো আপস করব না।

তিনি আরো বলেন , জানুয়ারি ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা আত্মসমর্পণ (৩+১ ) এর আওতায় ১ লক্ষ্য ৩ হাজার ৫শত ৭৪ জন দেশে ফিরে গেছেন। আমরা অবৈধ শ্রমিক এবং নিয়োগ দাতাদের ৩০ই আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে বলেছি , যার যার দুতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস ইস্যু করে দেশে যাওয়ার জন্য । যদি এই নির্দেশ মানতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আমরা , এবং কোন প্রকারেই আপস করা হবে না । আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে সবাইকে।

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার একজন এমপি। এদিকে চলমান অভিযানে অধিকাংশ নিয়োগকারীরা তাদের অবৈধ শ্রমিকদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে (৩+১) বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের যার যার দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। অনেক নিয়োগকারী এই প্রতিবেদককে জানান , বিগত দিনে শুধু শ্রমিকদের গ্রেফতার করা হতো কিন্তু বর্তমানে নিয়োগকারীকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে যার কারণে আমরা অবৈধ শ্রমিকদের যার যার দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছি । এ সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে । তাই আমরা আর কোন রিস্ক নিতে চায় না ।