ক্রিকেটের মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ইমরান খান

রাজনৈতিক জীবন যেমন বর্ণাঢ্য তেমন তার ব্যক্তিগত জীবনও। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায় ইমরান খান।

ক্রিকেটার হিসেবে একজন ‘জাতীয় বীর’ হয়ে ওঠেন। তিনি পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয় করে।

পাকিস্তানে সরকার গড়ার লড়াইয়ে এরইমধ্যে বাকিদের পিছনে ফেলে দিয়েছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিপিআই)। সরকার গড়ার জন্য ম্যাজিক ফিগার ১৩৭। আপাতত ১১৩টি আসনে এগিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

১৯৯১ সালে, ইমরান খান শওকত খানুম মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন, তার মায়ের নামে।

১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ দল গঠন। ২০০২ সালের অক্টোবরে মিয়ানওয়ালি ৭১ আসন থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে ৩০ অক্টোবর লাহোরের জনসমাবেশে প্রথমবারের মতো লক্ষাধিক সমর্থকের ভিড়ে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ ‘নতুন’ পাকিস্তান গড়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন ইমরান।

এদিকে, চার বছর পর ২০১৬ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও বেআইনি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ এনে রাজনীতিতে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে পিটিশন দায়ের করে পিএমএল-এন’র এক নেতা। পরের বছর ১৯১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশটির সুপ্রিমকোর্ট ইমরানের পক্ষেই রায় দেন।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে সহযোগিতা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ইমরান। মাত্র চার দিন পরের ভোটটা কার্যত হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সঙ্গে নওয়াজ শরিফের লড়াই। ইমরান খান দিন-রাত এক করে প্রচার চালাচ্ছিলেন।

লাহৌরে এক জনসভার মঞ্চে উঠতে গিয়ে অস্থায়ী লিফ্ট থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। ইমরানের মাথা ফেটেছে, কাঁধেও চোট লাগে।

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর এবার সে সুযোগ এলো। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আর অল্প দূরত্বই বাকি রয়েছে।

বুধবার গণনার ট্রেন্ড যতো সামনে আসে ততোই উল্লাস বাড়তে থাকে তেহরিক-ই-ইনসাফ শিবিরে।পিটিআইয়ের টুইটার পেজেই লেখা হয় ‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জন্য আপনারা তৈরি তো’।