সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে আছে। নির্বাচনের ফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণে এখনও চূড়ান্ত ফল পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ডন পত্রিকার হিসেব অনুযায়ী ৪৭ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ১১৩টি আসনে এগিয়ে আছে ইমরান খানের দল। অপরদিকে সবশেষ সরকারে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এগিয়ে আছে ৬৪টি আসনে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে রয়েছে ৪৩টি আসনে। ২৭২ আসনের জাতীয় পরিষদে (৭০টি সংরক্ষিত নারী আসন বাদে) সরকার গঠন করতে হলে যে কোনও দলকে ১৩৭টি আসন পেতে হবে। দেশটির প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডন-এর খবরে বলা হয়, ভোট গ্রহণের পর ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও ফল ঘোষণা শেষ হয়নি। ফল ঘোষণায় এই অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণে ইতোমধ্যেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরীফ।
এছাড়া পিপিপিসহ অন্য দলগুলোও ফল ঘোষণা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। দলগুলোর দাবি, অনেক আসনে ফল ঘোষণার সময় তাদের এজেন্টকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিষদ ছাড়াও সবচেয়ে বড় প্রদেশ পাঞ্জাবে ৫০ শতাংশ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা শেষে ১২৯টি প্রাদেশিক আসনে এগিয়ে রয়েছে পিএমএল-এন। অপরদিকে পিটিআই এগিয়ে আছে ১২২টি আসনে। তবে খাইবার পাখতুন প্রদেশে ফের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ইমরানের পিটিআই। সিন্ধুতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে এগিয়ে আছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। এছাড়া বেলুচিস্তানে আঞ্চলিক দল বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি-বিএপি এগিয়ে আছে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম পাকিস্তানে দ্বিতীয় মেয়াদে কোনও রাজনৈতিক সরকার মেয়াদ পরিপূর্ণ করতে সক্ষম হয়। তাই ২০০৮ সালের পর দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হওয়ার একটি আশা দেখা যায়। তবে এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তারে সেই আশা এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। দেশটিতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।