ফাইনাল ১৯৩০ থেকে ২০১৮

ফাইনাল ১৯৩০ থেকে- সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে ‘জুলে রিমে’ ট্রফি চিরদিনের জন্য নিজের ঘরে তোলে ব্রাজিল। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে যাত্রা শুরু ফিফা কাপের। এই বিশ্বকাপে হল্যান্ডের কোচ রিনাস মিশেল ফুটবলের ইতিহাস ‘টোটাল ফুটবল’ নামক এক নতুন ধরনের খেলা উদ্ভাবন করে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন।

ফাইনাল ১৯৩০ থেকে-

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি ৪ বছর পর পর বিশ্বের একেক প্রান্তে আয়োজক দেশে বসে বিশ্বকাপ জয়ের লড়াই। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ এই ২টি বিশ্বকাপের আসর বসেনি।

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক উরুগুয়ে এবং দ্বিতীয় বিশ্বকাপও ১৯৩৪ সালে স্বাগতিক দেশ ইতালি জিতে নেয়। ব্যক্তিগত ৮টি গোলের রেকর্ড হয় ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপে। ১৫টি দেশ এই বিশ্বকাপে অংশ নেয়।

১৯৫০ বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ ট্রফির নাম বদল হয় ‘জুলে রিমে কাপ’। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে। এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা ছিল তা হলো, উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ব্রাজিল হেরে যাওয়ায় হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক ব্রাজিল ভক্তের। ১৯৫৪ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করে সুইজারল্যান্ড। এই বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল-হাঙ্গেরির খেলাটি ‘বর্ণের যুদ্ধ’ হিসেবে কুখ্যাত হয়ে আছে। এই বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির বিস্ময় পুসকাস ১১টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন।

১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো জুলে রিমে ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পায়।

ফাইনাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হয় আরেক কলঙ্কময় অধ্যায়। উধাও হয়ে গেল ‘জুলে রিমে’ কাপটি। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল মেক্সিকোতে। এ আসরে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল ১৯৭০ সালের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়। সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে ‘জুলে রিমে’ ট্রফি চিরদিনের জন্য নিজের ঘরে তোলে ব্রাজিল।

১৯৭৪ বিশ্বকাপ থেকে যাত্রা শুরু ফিফা কাপের। এই বিশ্বকাপে হল্যান্ডের কোচ রিনাস মিশেল ফুটবলের ইতিহাস ‘টোটাল ফুটবল’ নামক এক নতুন ধরনের খেলা উদ্ভাবন করে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন। ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্বকাপের পর শিরোপা জিতে দীর্ঘদিনের অতৃপ্তি ঘোচায় আর্জেন্টিনা। ১৯৮২ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় স্পেন। এই বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে সেমিফাইনালটিকে শতাব্দীর সেরা খেলা বলা যায়। ১৯৮৬ বিশ্বকাপ ছিল ম্যারাডোনার।

ম্যারাডোনার একক নৈপুণ্যে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই বিশ্বকাপেই হাত দিয়ে করা গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’-এর গোল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা নিজে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে সিলাচি ব্যক্তিগত ৬টি গোল করে গোল্ডেন বুট পান। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইতালির বিপক্ষে ফাইনালের নাটকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের আসরটি বসে ফ্রান্সে। চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। ২০০২ বিশ্বকাপে ফাইনালে দুটি গোলই করেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো। জিতেও তারা। ইতালি, স্পেন ও জার্মানি যথাক্রমে জয় করে ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ