ফাইনাল ম্যাচে রাশিয়ায় থাকবে ৪৫ লাখ ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার!

ফুটবল ইতিহাসের পাতায় প্রথমবারের মতো গল্প লিখতে যাচ্ছে ক্রোয়েশিয়ানরা। মড্রিচরা যে অন্যরকম কিছু করতে পারেন, তাদের পূর্বপুরুষরা অবশ্যই জানান দিয়েছিলেন নিজেদের বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচেই। সেই ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসে সবাইকে চমক দেখিয়েছেন ক্রোটরা।

সে সময় বিশ্বের বড় বড় দলগুলোকে অবাক করে জিতেছেন তৃতীয় সেরার পুরস্কার। সেই ক্রোয়েশিয়াই এবার নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনালে।

রোবার (১৫ জুলাই) রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ক্রোটরা ফাইনাল ম্যাচে লড়বে ৯৮-এর বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের সাথে। এমন একটি মানচিত্র থেকে এসছেন মড্রিচরা, যেখানে জনসংখ্যাও বেশি নয়। মাত্র সাড়ে চার মিলিয়ন বা প্রায় ৪৫ লক্ষ মানুষের বসবাস ক্রোয়েশিয়ায়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এতো কম জনসংখ্যার কোন দেশ আগে কখনো ফাইনাল খেলেনি। ক্রোয়েশিয়ানরা প্রথমবারের মত গড়ল এই ইতিহাস।

লোক সংখ্যা কম হলেও ক্রোয়েশিয়ানরা যে ফুটবলের জনপ্রিয়তা শীর্ষে রয়েছে তা তাদের প্রেসিডেন্টের দিকে তাকালেই অনুমান করা যায়। মাঠে এসে ফুটবলারদের এমন উৎসাহ দিতে দ্বিতীয় নজির আর পূর্বে ঘটেনি।

ফুটবলারদের এমন সাফল্যে উৎফুল্ল ক্রোটরা। তাই তো ফাইনাল ম্যাচে মাঠের খেলায় মূলত ১১ জন খেললেও অদৃশ্য খেলোয়াড় হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার সকল নাগরিকই লুঝনিকিতে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ।

ফাইনাল ম্যাচটি পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাকিটিচ বলেন, ‘এই ম্যাচটি শুধুমাত্র মাঠে থাকা ১৪-১৫ জন খেলোয়াড়ের জন্য ঐতিহাসিক নয়। পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য এটি বিশেষ এক ম্যাচ। তাই ফাইনাল ম্যাচে আমাদের দেশের সব মানুষই থাকবে!’

বার্সার এই মিডফিল্ডার আরো বলেন, ‘ লুঝকিনিতে যদি জায়গা দেয় হতো তা হলে ক্রোয়েশিয়ার ৪৫ লক্ষ মানুষ রাশিয়ায় চলেআসতো।’