বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পরা কিশোর ফুটবলারদের উদ্ধার করা ।থাইল্যান্ডে চরম ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে গুহায় আটকা পড়া সব কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের নেভি সিলের টিম এ খবর নিশ্চিত করেছে।
ওই ফুটবল দলের সদস্য এবং তাদের কোচের কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ক্যাপ্টেন ডুগানপেট প্রমটেপ- বয়স ১৩ বছর, তিনি দলের অত্যন্ত সম্মানিত সদস্য যিনি দলকে উজ্জীবিত রাখতে কাজ করেন। তিনি থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি পেশাদার ক্লাব থেকে স্কাউটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
আদুল স্যাম-অন- ১৪ বছর বয়স, মিয়ানমার বংশোদ্ভূত, কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারেন এবং দলের একমাত্র সদস্য যিনি ব্রিটিশ ডুরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। যারা সর্বপ্রথম তাদের সন্ধান পায়।
পিরাপাত সোমপিয়াংজাই- বয়স ১৭ বছর, যেদিন তারা গুহায় আটকে পড়ে অর্থাৎ ২৩ জুন তার জন্মদিন ছিল। একাপোল চান্টাওং- বয়স ২৫ বছর, দলের সহযোগী কোচ, উদ্ধারকারীদের মতে তিনি সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছেন।
যা খেয়ে বেঁচে ছিল ৯দিন: ২৩ জুন নাইটের জন্মদিন ছিল। সেদিনই নিখোঁজ হয় সে। তার বাবা-মা এখনো সেই জন্মদিনের পার্টি আয়োজনের অপেক্ষায় আছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, নাইটের জন্মদিন উদযাপনের উদ্দেশ্যেই ওইদিন গুহায় ঢুকেছিল দলটি। সঙ্গে করে এজন্য নানা রকম স্ন্যাকসও নিয়ে গিয়েছিল তারা। তাদের সাথে নেয়া এসব খাবার অল্প অল্প করেই এই কয়দিন বেচেঁ ছিল ওরা। সবচেয়ে আশ্চার্যের যে বিষয়টি সেটি হল, কোচঁ সবার থেকে কম খেতেন এবং তিনি অন্যদের তার খাবার খেতে দিতেন। আর এ কারনেই তিনি ছিলে সবার চেয়ে দুর্বল।
উদ্ধার অভিযানে অংশ দেওয়া দলের প্রধান বলেন, অভিযানের দ্বিতীয় দিনটি প্রথম দিনের তুলনায় আরো মসৃণভাবে পরিচালিত হয়েছে। প্রতিবার ডুবুরিদের দুঘণ্টারও কম সময় লেগেছে। একটি বিশাল পাম্পিং মেশিন দিয়ে গুহার ভেতরের পানির স্তর নীচে নামিয়ে আনা হয়। যা পুরো যাত্রাকে আরও সহজ করে তোলে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটিতে প্রবেশ করার পর বৃষ্টিতে প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর বের হতে পারেনি তখন থেকেই ভিতরে আটকে ছিলেন তারা।তদের উদ্ধারে করছে থাইল্যান্ড সরকার কারের চেষ্টায়।