সৌদিতে অবস্থানরত প্রবাসীদের চরম দুঃসংবাদ কেউ মিস করবেন না!

তরুণ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন। নতুন নতুন আইন প্রনয়ন করেছেন।তারি লক্ষে দেশথেকে দুনিতীকে নিমূল করার লক্ষে নতুন করে কাজ শুরু করেছে সৌদি সরকার।

সম্প্রতি সৌদি আরবে আবারও ধরপাকড় শুরু হয়েছে। কয়েক মাস বিরতির পর আবারও সৌদি আরবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী এবং শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আটক করা হচ্ছে। গত মাসে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শেষ করার ঘোষণা দেয়ার পর নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, রাজপরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ীসহ অনেককেই কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আটকের বিষয়ে সৌদি কর্মকর্তারা কোন মন্তব্য না করলেও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছেন, আটককৃতরা দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হবেন। এক রাজডিক্রির জারির মাধ্যমে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন গত বছরের নভেম্বরে প্রথম দফায় দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করে।

ওয়াল স্ট্রিটের খবর অনুযায়ী, কারাগারে আটক থাকাদের মধ্যে রয়েছেন ইথিওপিয়ান বংশোদ্ভূত সৌদি ধনকুবের মোহাম্মদ আল-আমোদি, জায়ান্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সৌদি বিনলাদিন গ্রুপের চেয়ারম্যান বকর বিন লাদেন, সৌদি বিনিয়োগ এজেন্সির সাবেক প্রধান আমর আল-দাব্বাগ ও সাবেক অর্থনীতি বিষয়কমন্ত্রী এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের একসময়ের ঘনিষ্ঠ আদেল ফায়েক।

কোনো অভিযোগ ছাড়াই তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। এর আগে যাদেরকে আটক করা হয়েছিল তাদের অনেককে এখনও আটকে রাখা হয়েছে। পরিবার কিংবা আইনজীবীদের সঙ্গে তাদেরকে কোনো যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সআটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহর পুত্র ও রাজধানী রিয়াদের সাবেক গভর্নর প্রিন্স তুর্কি বিন আবদুল্লাহ। এছাড়া সম্প্রতি প্রসিদ্ধ সৌদি ব্যাংকিং গ্রুপ মাহফুজ পরিবারের তিন ধনকুবেরকে আটক করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আটকের নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।

সৌদির খ্যাতনামা ও প্রভাবশালী একটি ব্যাংকের মালিক মাহফুজ পরিবারের সদস্য তারা। ব্যাপক নিরাপত্তা ঘেরা কারাগারে তাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। কারও কারও সঙ্গে ‘অমানবিক ও বাজে আচরণ’ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা এবং আটককৃতদের স্বজনরা জানিয়েছেন, কোনো রকম অভিযোগ ছাড়াই আটক করে কারাগারে রাখা হচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীদেরও আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। দেখা করতে দেয়া হলেও সেটা খুব কম সময়ের জন্য।

এ ব্যাপারে দেশটির সরকারের মুখপাত্র কোনো রকম মন্তব্য করতে রাজি হননি। যদিও সৌদির ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের নভেম্বরে মাঝামাঝিতে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এক রাজকীয় ডিক্রি জারি করে ওই অভিযান চালানো হয়। প্রথমবারেই ১১ জন প্রিন্স, চারজন মন্ত্রী এবং প্রায় ডজনখানেক সাবেক মন্ত্রীকে আটক করা হয়।

রিৎজ কার্লটন হোটেল থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আবার অনেকের গতিবিধি পর্যবেক্ষেণর জন্য পায়ে মনিটর লাগানো হয়েছে বলে তাদের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। আবার অনেকেই সৌদি যুবরাজের পদক্ষেপের ইতিবাচক প্রচারণায় শামিল হয়েছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে মুক্তি পাওয়া অন্তত একজন সরকারের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছেন।তবে এমন সমস্যায় পরতেছে সাধারন প্রবাসীরা যাদের কাগজপএ আছে তারাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।