১৬ রানে ৩ উইকেট

মধ্যাহ্ন বিরতি পর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ দল। বিরতি থেকে ফিরে প্রথম ওভারেই সেঞ্চুরিয়ান ব্রাথওয়েটকে ফেরান সাকিব। এরপর ৯ রানের ব্যবধানে নতুন ব্যাটসম্যান রথন চেজকে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ৭ রানের ব্যবধানে সাকিবের বলে লিটন দাসের অসাধারণ ক্যাচে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন শেন ডোহারি।

সাকিবের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ব্রাথওয়েট

ব্রাথওয়েটকে অবশেষে ফেরানো গেল। অবশ্য তার আগেই ক্যারিয়ারের সপ্তম এবং বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই ওপেনার।

মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই ব্রাথওয়েটকে সাজঘরে পাঠান তিনি। মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে ১১টি বাউন্ডারিতে ২১২ রান করেন ব্রাথওয়েট।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯০ রান।

দিনের প্রথম সাফল্যা কামরুলের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনটি ব্যর্থতায় কেটেছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দলকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন পেস বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

আগের দিনের শেষ মুহূর্তে ক্রিকেটের ‘নৈশপ্রহরী’ তথা নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামানো হয়েছিল ডানহাতি লেগ-স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে। দিনের শেষ বিকালে যাতে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের উইকেট হারাতে না হয় সে জন্যই বিশুর মতো বোলারকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম ম্যানেজমেন্ট। যে উদ্দেশ্যে তাকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়েছিল, তিনি শতভাগ সফল।

অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিরেন শেষ বিকালেই নয়, দ্বিতীয় দিনের সকালটাও অনেকটা সমলিয়েছেন বিশু। কামরুল ইসলাম রাব্বির গতির বলে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে বিশু ৭৯ বল খেলে ১৯ রান করেন। তার এই রানটা তুলনামূলক ছোট হলেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিচারে পাহাড়সম।

প্রথম ইনিংসের ৪৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলের একজন ব্যাটসম্যানও এই অ্যান্টিগার উইকেট ৭৯ বল খেলতে পারেননি। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ বল খেলে ২৫ রান করেছিলেন ওপেনার লিটন কুমার দাস।

ব্রাথওয়েটের সেঞ্চুরি

আগের দিনে ৮৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা ব্রাথওয়েট টাইগারদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছেন। কামরুল ইসলাম রাব্বিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অঙ্কের ফিগারে পৌঁছে যান ২৫ বছর বয়সী ক্যারিবীয় এই ওপেনার।

ব্রাথওয়েটের ৪৮টি টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় শতক। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংসটি খেলেছেন সাকিবদের বিপক্ষেই। সেটা ২০১৪ সালের কিংস্টনে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে (২১২) ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

এর আগে প্রথম দিনের অাগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ রানেই অলআউটের লজ্জায় পড়ে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল। দলের ওপেনার লিটন কুমার করেন ২৫ রান। বাকি ১৮ রান করেন ৯জন ব্যাটসম্যান। তবে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক-সাকিব-মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৩/১০ (লিটন ২৫; কেমার রোচ ৫/৮)।