দলের প্রাণভোমরাকে ছাড়াই বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে লড়বে ব্রাজিল

ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা কে? এমন প্রশ্নে জবাবে কোচ তিতে বলেন,‘ আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা নেইমার কিন্তু পুরো দলের প্রাণভোমরা কাসেমিরো।’ বেলিজিয়ামের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে এই মিডফিল্ডারকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে ব্রাজিলকে। ‘ডাক হার্স’ হিসেবে আসর শুরু করলেও এবারের বিশ্বকাপে এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দলের একটি বেলিজিয়াম।

সুইজারল্যান্ড ও মেক্সিকোর বিপক্ষে হলুদ কার্ড দেখার কারণে কোয়ার্টারে বেলজিয়ামের বিপক্ষে রিয়াল তারকার সার্ভিস পাবে না ব্রাজিল। যাকে বলা হয় ব্রাজিল দলের ‘হৃদপিণ্ড’। ‘হৃদপিণ্ড’ ছাড়া কি বাঁচা সম্ভব?

নেইমার, কুতিনহো, জেসুসদের ভীড়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসে না কাসেমিরোরা। খেলেন হোল্ডিং মিডফিল্ডে। তাকে যে নায়কের চেয়ে ভিলেনরূপে বেশি দেখা যায়। গোল করা নয়, প্রতিপ্রক্ষের গোলদাতাকে রুখে দেওয়া তার কাজ। মাঝে মাঝে গোল তৈরির কারিগরের ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিলের এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করায় সবচেয়ে বড় অবদান কাসেমিরোরই।

কাসেমিরো সারা মাঠ চষে বেড়ান। দুই সেন্টারব্যাকের সামনে প্রতিপক্ষের জন্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানোই তার মূল কাজ। ব্রাজিলের বক্সে ঢুকতে তার কাছেই দিতে হয় প্রতিপক্ষের প্রথম পরীক্ষা। আবার বিপক্ষ দলের মিডফিল্ডারদের কাছ থেকে বল কেড়ে প্রতি আক্রমণও তিনিই শুরু করেন। তার শূন্যতা নেইমারদের দলে অপূরণীয়। আসরের অন্যতম শক্তিশালী দল বেলজিয়ামের বিপক্ষে কাসেমিরোর সার্ভিস না পাওয়া ব্রাজিলের জন্য বড় দুশ্চিন্তা। তার জায়গায় দেখা যেতে পারে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফার্নান্দিনহোকে।

এখন দেখার বিষয় কেভিন ডি ব্রুনাই, ফেলাইনিদের সাথে কাসেমিরোহীন ব্রাজিল মিডফিল্ড কতটা পেরে উঠে।

উল্লেখ্য, ফিফার নিয়ম মতে যদি কোন প্লেয়ার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে দুটি হলুদ কার্ড দেখে তাহলে সে পরের ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার খড়গ পরতে হবে।