‘মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ বন্ধ হয়নি, বাতিলও হয়নি’

মালয়েশিয়ায় জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতি বাতিল হয়নি, সিন্ডিকেট প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোও বন্ধ হয়নি। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, এ মাসেই দু’দেশের যৌথ কার্যকরী গ্রুপের সভা করতে মালয়েশিয়াকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মীর চাহিদাপত্র যেগুলো এসেছে সেখানে ৭০ হাজার বাংলাদেশি অভিবাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন।

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে জি টু জি প্লাস পদ্ধতি ও সিন্ডিকেশন প্রক্রিয়া বাতিল নিয়ে এক সপ্তাহ আগে মন্তব্য করেন সে দেশের নতুন সরকারের মানবসম্পদ মন্ত্রী। এতে মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহী ও অপেক্ষমানদের মধ্যে আশংকা ও বিভ্রান্তি ছড়ায়। এক সপ্তাহ পার হলেও এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার কোন নেতিবাচক পদক্ষেপের তথ্য পায়নি বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা নীতিগতভাবে তাদের শুধু ১০ জন সদস্য নিয়ে সিন্ডিকেট প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। তবে মালয়েশিয়ায় এ প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠানো চলছে। বায়রা প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, মাহাথির সরকার সিন্ডিকেট প্রক্রিয়া নিয়ে তদন্তের পর দেশটিতে কর্মী পাঠানোর সুযোগ সব রপ্তানিকারকের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারে।

মালয়েশিয়ায় একজন কর্মী যেতে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত খরচ ১লাখ ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হলেও ৩ লাখ টাকার কমে কেউ যেতে পারেন না। অভিবাসন ব্যয় কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণে আবারো মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিচ্ছে বায়রা।