শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে যাদের

জমে উঠেছে বিশ্বকাপের লড়াই। গ্রুপপর্ব শেষ হয়ে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। শিরোপা অর্জনের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ তারা। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে ফুটবলাররা চান নিজের দলকে শিরোপা এনে দিতে। অনেক ফুটবল কিংবদন্তিকে হয়তো বিশ্বকাপের আর অন্য কোনো আসরে দেখা যাবে না। এটাই হয়ত তাদের শেষ বিশ্বকাপ। রাশিয়ায় যাদের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ একনজরে দেখা নেওয়া যাক তাদের।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)

by Taboola
Sponsored Links
You May Like
Why these cancelled TV shows should replace ‘Roseanne’ – Film Dailyfilmdaily
This Woman Reads 100 Books In A MonthBlinkist
বিশ্বকাপ না জিততে পারলে অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন লিওনেল মেসি। কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা পর পর তিন বছর তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও কাপটা হাতের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে আর্জেন্টিনা ও মেসির। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারার পর হতাশায় জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে নেন মেসি। পরে আবার ফিরে এসেছেন। এবারই মেসির জন্য শেষ সুযোগ অমরত্ব অর্জনের। মেসি নিজেও জানেন সেটা। এ জন্যই এবার বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলের বুটজোড়া পাকাপাকিভাবে তুলে রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)

‘ছোট থেকেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখে আসছি। সেই বিশ্বকাপ জিতলেও অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও অবসর নেবেন না বলছেন সিআরসেভেন। বর্তমানে তার বয়স ৩৩। চার পর ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৩৭। তা হলে কি বয়সটা কোনো ফ্যাক্টর নয়, ফিটনেসই আসল এই তত্ত্বকে সামনে রেখে এগোচ্ছেন তিনি। রোনালদো যাই বলুন না কেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা কিন্তু রাশিয়াতেই রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ দেখতে পাচ্ছেন।

লুইস সুয়ারেজ (উরুগুয়ে)

২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইতালির জর্জিও কিয়েলিনিকে কামড়ে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ। এ ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিতও হতে হয়েছিল তাকে। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের পর অবশ্য বার্সেলোনায় যোগ দেন তিনি। মেসির পাশে নিজেকে বেশ মানিয়ে নিয়েছেন সুরারেজ। ২০১০ সালে প্রথম বিশ্বকাপে খেলেন তিনি। তখনো দলের কোচ ছিলেন অস্কার তাবারেজ। সেই তাবারেজ আবারও বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কোচ। ইতোমধ্যেই ৩১ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন সুয়ারেজ। চার বছর পর ২০২২ সালে কি বিশ্বকাপে সুয়ারেজকে খেলতে দেখা যাবে? সম্ভবনা কম বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (স্পেন)

স্পেনের ফুটবল ইতিহাসে নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা ফুটবলারের নাম আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ইনিয়েস্তার করা গোলেই বিশ্বকাপ জিতে নেয় স্পেন। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার যিনি দুটি ইউরো কাপ ফাইনাল এবং একটি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপ দিয়ে বিশ্ব ফুটবলের মহাযজ্ঞে অভিষেক হয় ইনিয়েস্তার। এর পর ২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে সবকটি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। ৩৪ ছুঁয়েছে ইনিয়েস্তার বয়স। ছেড়ে দিয়েছেন শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা। রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো অবসর নিয়ে নেবেন জাতীয় দল থেকেও। আর অবসর না নিলেও ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের আগেই যে বুটজোড়া তুলে রাখবেন ইনিয়েস্তা তা নিয়ে হয়তো আর কারোর কোনো সংশয় নেই।

সার্জিও রামোস (স্পেন)

স্পেনের সোনালি দিনের শরিক সার্জিও রামোস। ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরো জয় থেকে ২০১০ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিলেন এ সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপকে দ্রুত ভুলতে চাইবেন তিনি। ২০১২ সালের ইউরো জয়ের পর বড় মঞ্চে আর তেমন সাফল্য নেই স্প্যানিশদের। স্প্যানিশদের রক্ষণে বড় ভরসার নাম অবশ্যই রামোস। ইতোমধ্যেই ৩২ ছুঁয়েছে তার বয়স। পরের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা খুব কম। তাই রাশিয়াতেই সম্ভবত শেষ হচ্ছে সার্জিও রামোসের বিশ্বকাপ।

হ্যাভিয়ের মাসচেরানো (আর্জেন্টিনা)

২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার রানার্সআপ হওয়ার পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন হ্যাভিয়ের মাসচেরানো। সেবারের সেমিফাইনাল ম্যাচে ডাচ খেলোয়াড় অ্যারিয়েন রোবেনকে করা তার ট্যাকেল জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ট্যাকেলের তালিকায়। সাহসী ডিফেন্ডিংয়ের মধ্যে দিয়ে দলের রক্ষণভাগ আগলে রাখতে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এরই মধ্যে বয়সের কাটা ছুঁয়েছে ৩৩। তাই রাশিয়া বিশ্বকাপেই সম্ভবত শেষ হতে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের বিশ্বকাপ যাত্রা।