জাপানের সামনে হাতছানি, ইংল্যান্ড-বেলজিয়ামের নিয়মরক্ষার ম্যাচ

রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব শেষ হচ্ছে আজ। রাত আটটায় ‘এইচ’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে জাপান-পোল্যান্ড এবং কলম্বিয়া-সেনেগাল। ‘জি’ গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচে রাত ১২টায় মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড ও পানামা-তিউনিসিয়া। এই গ্রুপের দুটো ম্যাচই নিয়মরক্ষার। কারণ ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তিউনিসিয়া ও পানামার।

তবে সুযোগ আছে জাপান ও সেনেগালের। আজকের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে জাপান ড্র করতে পারলেই পরের রাউন্ডে যেতে পারবে। একইভাবে সেনেগালও প্রতিপক্ষ কলম্বিয়ার সঙ্গে কোনোভাবে ড্র করতে পারলেও তারাও যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। তবে তাদের জন্য কাজটা সহজ হবে না। প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়া জাপানের কাছে হারলেও পোল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাদের তারকা খেলোয়াড়রা ফিরেছেন ছন্দে।

পোল্যান্ডের বিপক্ষে পরিসংখ্যান অবশ্য জাপানের পক্ষে কথা বলছে। আগের দুইবারের দেখায় দুইবারই জিতেছে জাপান। ১৯৯৬ সালে তারা ৫-০ গোলে হারিয়েছে পোল্যান্ডকে। আর ২০০২ সালে ২-০ গোলে হারিয়েছিল পোলিশদের। ৭ গোলের বিপরীতে একটি গোলও দিতে পারেনি পোল্যান্ড। দুটোই ছিল প্রীতি ম্যাচ। আজ জয় কিংবা ড্র করতে পারলেই ১৬ বছর পর বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবে এশিয়ার দেশটি। সবশেষ ২০০২ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছিল সামুরাই ব্লুরা।

এদিকে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম পরের রাউন্ডে কাকে পেতে চায় সেটার উপর নির্ভর করবে তারা এই ম্যাচে কেমন পারফরম্যান্স করবে। তবে এই গ্রুপে দল দুটি এখনো সমানে-সমান চলছে। দুই পর্বের খেলা শেষে বেলজিয়ামের পয়েন্ট ৬। ইংল্যান্ডেরও ৬। গোল ব্যবধান বেলজিয়ামের ৬। ইংল্যান্ডেরও তাই। প্রতিপক্ষের জালে দুই ম্যাচে বেলজিয়াম ৮ বার বল জড়িয়েছে, ইংল্যান্ড ৮ গোল দিয়েছে দুই প্রতিপক্ষকে। বেলজিয়াম ২ গোল হজম করেছে। ইংল্যান্ডও সমনা ২ গোল হজম করেছে। সবকিছু সমান-সমান হলে দেখা হয় ফেয়ার প্লে। সেক্ষেত্রে বেলজিয়ামের চেয়ে একটি কার্ড বেশি দেখেছে ইংল্যান্ড। তবে আজকের ম্যাচে একটি দল জয় পেলে আর কোনো কিছুর আশ্রয় নিতে হবে না গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণে।

ইংল্যান্ড অবশ্য জয়ের জন্যই মাঠে নামবে। তারা জয়ের ধারাটা ধরে রাখতে চায়। ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড বলেন, ‘আসলে এটা একটা মোমেন্টাম। আমরা সেটা ধরে রাখতে চাই। প্রতিটি ম্যাচ জেতার মানসিকতা নিয়েই আমরা মাঠে নামব। আমরা জয়ের ধারায় থাকতে চাই। সেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। আমরা কার মুখোমুখি হতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে ভাবছি না। কারণ বিশ্বকাপে খেলতে আসলে এমন বড় বড় দলের বিপক্ষেই খেলতে হবে।’

এর আগে বিশ্বকাপে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় ৪-৪ গোলে ড্র করেছিল। আর ১৯৯০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দেখায় বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার কী ভিন্ন গল্পের প্লট তৈরি করতে পারবেন হ্যাজার্ড-লুকাকু-কোম্পানিরা? নাকি ইংল্যান্ড তাদের অজেয় থাকার ঐহিত্য ধরে রাখবে হ্যারি কেন-রাশফোর্ড-স্টার্লিংদের পারফরম্যান্সে ভর করে?

সব মিলিয়ে এর আগে ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে ১৫টিতে। বেলজিয়াম ১টিতে। ড্র হয়েছে পাঁচবার।