যে কারণে ফ্রান্সকে ভয় করছেন মেসি

সব শঙ্কা দূর করে রাশিয়া বিশ্বকাপে নক আউট পর্বের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা দেশটি এবার চলে গিয়েছিল খাদের কিনারে। যদিও একজন লিওনেল মেসি আছেন বলেই আসর শুরুর আগে ট্রফি জয়ের বড় দাবিদার বলা হচ্ছিল দলটিকে। নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টাইনদের শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে ওঠা ঠিক, কিন্তু শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হয়ে এসেছে ফ্রান্স। ১৯৯৮-এর চ্যাম্পিয়নদের বড় চ্যালেঞ্জই মনে করছেন মেসি।

আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা হোর্হে সাম্পাওলির দলকে নিয়ে ভয় থাকছেই। এরপর তো সব ম্যাচই নক আউট। অবশ্য আর্জেন্টাইনদের জন্য গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচটিই তো হয়ে উঠেছিল তাই। আর ওই ভয় দূর করার পর আর্জেন্টিনা নেতা মেসিও ফ্রান্সকে নিয়ে ভয়ের কথাই জানিয়েছেন; নাইজেরিয়া ম্যাচ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে।

নক আউটে আর ভুল করার সুযোগ নেই। হারলেই কাটতে হবে দেশে ফেরার টিকিট। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালিষ্ট এবং দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা কি ফ্রান্স বাঁধা জয় করতে পারবে? এবারের আসরে দিদিয়ের দেশমের দলটা আবার দুরন্ত। ‘সি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে যে দলটি। পল পগবা, ডেম্বেলে, গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকায় ঠাঁসা দলটি।

মেসি সেই দলটাকে নিয়ে বললেন এভাবে, ‘অবশ্যই আমরা সব ম্যাচ দেখেছি। আমরা সব লক্ষ্য করেছি। দারুণ সব খেলোয়াড় নিয়ে ফ্রান্স দলটা দুর্দান্ত। তাদের ডিফেন্স সুন্দর, ভালো মিডফিল্ড এবং দারুণ ফরোয়ার্ড লাইন। তাদের দ্রুতগতির খেলোয়াড় আছে যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।’

মঙ্গলবার লিওনেল মেসির গোলে ১৪ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৫১ মিনিটে ভিক্টর মোসেসের পেনাল্টি থেকে করা গোলে তা পরিশোধ করে নাইজেরিয়া। শঙ্কায় পড়ে যাওয়া আর্জেন্টিনাকে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৮ মিনিট আগে উদ্ধার করেন মার্কোস রোহো। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত এই দলটা কোন পর্যন্ত পৌঁছায়।