দ্বিতীয় বারের মত প্রেসিডেন্ট হয়ে যা বললেন এরদোয়ান

শাসক নয়, বরং সব সময় জনগণের সেবক হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার জনগণ এ ব্যাপারে সজাগ বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

সোমবার (২৫ জুন) রাজধানী আঙ্কারায় নিজ দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির প্রধান কার্যালয়ে এক ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

এরদোয়ান বলেছেন, এ নির্বাচনে মধ্য দিয়ে তুরস্কের জনগণ এবং দুনিয়ার সব নিপীড়িত মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ বিজয় গণতন্ত্র ও ৮ কোটি তুর্কি নাগরিকের বিজয়।

তিনি আরও বলেছেন, তুরস্কের এই নির্বাচনে ৯০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ান ও তার জোটের ঐতিহাসিক বিজয় হয়েছে। এই বিজয়ের ফলে এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্সি শাসন ব্যবস্থার অধীনে প্রথম নেতা হিসেবে আবির্ভূত হলেন।

নির্বাচনে ৫২ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি’র প্রার্থী মুহাররেম ইনস এ পর্যন্ত পেয়েছেন ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট।

এদিন একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।

৬০০ আসনের পার্লামেন্টে এরদোয়ানের দল একে পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৩ জন এমপি। জোট শরিক এমএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫০ জন। সিএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৬ জন এমপি। তাদের জোট শরিক ইয়ি পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন।

২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এরদোয়ান। ২০১৪ সালেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। তার প্রধান সমর্থক হচ্ছেন রক্ষণশীল এবং ধার্মিক অপেক্ষাকৃত বয়স্ক তুর্কিরা।

তিনি তুরস্কের এতকাল ধরে চলে আসা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামি মূল্যবোধকে শক্তিশালী করেছেন এবং তার সময়ে দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।