ফুটবল ‘জাদুকর’ লিওনেল মেসিকে তো সবাই চেনেন। তার পায়ের যাদু দেখে অভ্যস্ত গোটা বিশ্ব।
কিন্তু একজন মানবিক মেসিকে গোটা বিশ্বের কতজন জানেন? বা মেসি সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন? আর্জেন্টিনাইন তারকা লিওনেল মেসি তার আয়ের একটা বড় অংশ পথশিশুদের পেছনে ব্যয় করেন।
আর এজন্য মেসি গড়ে তুলেছেন ‘মেসি ফাউন্ডেশন’। সালটা ২০১৫। ইউনিসেফের (জাতিসংঘ শিশু তহবিল) শিশু তহবিলে বার্সার প্রাণ–ভ্রমরা মেসি দান করেন বিপুল পরিমাণ টাকা। আপনি ধারণা করতে পারেন এই দানের পরিমাণ কত? তিনি দান করেন ৪৫ লাখ আর্জেন্টিনিয়ান পেসো।
যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়ার শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। কেননা, সেখানে স্কুলের চিহ্ন টুকুও পর্যন্ত নেই। তাই বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। এটা মেসি শোনার পর অবাক হন। কারণ বরাবরই মেসির হৃদয় শিশুদের জন্য প্রসারিত।
তাই তো বিভিন্ন স্কুলের ২০টি অত্যাধুনিক ক্লাস রুম তৈরি করে দিলেন মেসি। প্রতিটি ক্লাসরুমে আধুনিক সকল সুবিধা ও আসবাব পত্র রয়েছে।
এছাড়াও লিওনেল মেসি ফাউন্ডেশন ১০০ ওপরে শিশুকে সরাসরি পড়ালেখার জন্য সহায়তা করে আসছে। লিও মেসি ফাউন্ডেশন যুদ্ধবিধ্বস্থ সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজর ৬০০ শিশুর শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। শিশুদের মাসিক খরচের ৬০% বহন করবে এই ফাউন্ডেশন।
লিওনেল মেসি গোটা বিশ্বের হাজারো শিশুর মুখে হাসি ফোঁটায়। আর এজন্য লিও মেসি ফাউন্ডেশন নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। মেসির বার্ষিক আয় ১০০ মিলিয়ন ইউরো। যার একটা বড় অংশ ব্যয় হয় সারাবিশ্বের শিশুদের জন্য। ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের জন্য মেসি নিজে সহায়তার জন্য নেমে পড়েন।
আরও পড়ুন: মেসির বাজে খেলার ৫ কারণ
প্রসঙ্গত, মেসির শিশুদের সহায়তায় এগিয়ে আসার গল্পটা অবশ্য পুরনো। লিও মেসি তার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে অর্থাৎ ২০০৭ সালে পথশিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করতে গড়ে তোলেন চ্যারিটি সংগঠন মেসি ফাউন্ডেশন। ইউনিসেফের সঙ্গে ২০১০ সালে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন।