তাহলে বিজয় অধ্যায়ের চির সমাপ্তি ?

চলতি বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে দীর্ঘ তিন বছর পর দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। অবশ্যই অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর দলে সুযোগ পেয়েছেন ডান হাতি ওপেনার।

দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া লীগে অসাধারণ পারফরম্যান্স করলেও তা যেন নির্বাচবদের চোখেই পড়ছে না। আর এ নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় চলে সমালোচনা। অবশেষে চলতি বছরেরর জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে অফ ফর্মে থাকা বন্ধু সৌম্যের পরিবর্তে কপাল খুলে বিজয়ের।

তবে ঘরোয় ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি বিজয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচ খেলে মাত্র ৫৫ রান করেছেন তিনি। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ করেছেন ৩৫ রান।

বিজয়ের ব্যর্থতার দিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে খেলে টিম টাইগারস। অবশ্যই ফাইনালের একাদশে জায়গা হয়নি তার। এরপর ‘নিদাহাস’ ট্রপি ও আফগানদের বিপক্ষে রাখা হয়নি তাকে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের পর আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে আপন ছন্দে ফিরলেন বিজয়। তবে তা নজর কারতে পারেনি বিসিবির। কারণ জাতীয় দলের ব্যর্থতাকে বিজয়ের ক্ষেত্রে বড় করে দেখা হয়।

সবশেষে ধারণা করা হয়েছিল, জাতীয় দলে জায়গা না ফেলেও বাংলাদেশ ‘এ’ দলে জায়গা পাবেন বিজয়। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে সৌম্য, সাব্বির মোসাদ্দেকদের জায়গা হলেও রাখা হয়নি এনামুল হক বিজয়কে।

অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে যারা ভালো করেছে এবং জাতীয় দল থেকে যারা ছিটকে পড়েছে তাদেরকে নিয়ে গড়া হয়েছে ‘এ’ দল। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেও সেখানে জায়গা হয়নি বিজয়ের। বিসিবি পাড়ায় গুঞ্জন, বিজয়কে ত্রিদেশীয় সিরিজে নেয়া হয়েছে মূলত মিডিয়ার চাপে।

জাতীয় দলে রান না পেলেও, ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পাওয়া বিজয় অন্তত ‘এ’ দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। বিজয়কে না নিয়ে তরুণ সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলামদের সুযোগ পাওয়া অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না তো?